Trending

বন্যা বিধ্বস্ত পাকিস্তান। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ইন্দাস। সিন্ধুর স্রোতে ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি, অট্টালিকা। বন্যার জল ভাসিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমিকে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রচুর পরিমাণে শস্য। প্রাণ হারিয়েছেন ১১০০ এর বেশি মানুষ। প্রায় ৩ কোটি মানুষের অস্তিত্ব এখন সংকটের মুখে। আর কত গবাদি পশু যে এই বন্যার শিকার, সেই সংখ্যাটা আর নাই বা বললাম! দিনের পর দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। জিনিসপত্রে দাম আকাশছোঁয়া। এদিকে পকেটে ফুটোকড়িও নেই আমজনতার। আর এমন পরিস্থিতিতে ত্রাণের আবেদন চাইছে দেশটি। তবে অন্যান্য দেশের থেকে ত্রাণ গ্রহনে ছুঁৎমার্গ না থাকলেও ভারতের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে একটা বড় প্রশ্ন?
পাকিস্তানের এই দুর্দিনে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আশ্বাস দিয়েছেন সবরকম সাহায্যের। এর আগেও ২০০৫ এবং ২০১০ এর বন্যায় পড়শি দেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। পাঠিয়েছিল বিপুল পরিমাণ ত্রান সামগ্রী। তবে, ২০১৯ সাল নাগাদ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। নেপথ্যে, অবশ্যই আর্টিকেল ৩৭০। তবে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তান সরকারের থেকে সবজি আমদানি করার বিষয়ে বিশেষ পারমিশন নিয়েছে পাকিস্তান চেম্বার অফ কমার্স। ভারত থেকে পিঁয়াজ টমেটো, ওষুধ সহ আরও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমদানিতে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন শেহবাজ শারিফ সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল।
পাকিস্তানের মূল্যবৃদ্ধিকে ভয়াবহ করে তুলেছে বন্যা পরিস্থিতি। বিধ্বংসী বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখোমুখি পাকিস্তান। ফলে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি পাকিস্তানের এই বন্যা পরিস্থিতে ফের স্বাভাবিক হতে চলেছে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক? যদিও সূত্র মারফৎ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, ভারত পাক বানিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। এখন সেই সম্পর্ক পুনরায় চালু করা হবে কি না সেই বিবেচনার দায়ও পাকিস্তান সরকারেরই। এখন এই ত্রাণ পরিস্থিতি ভারত-পাক সম্পর্কের ভাঙন সারায় কিনা সেটাই দেখার।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ