Market

দীপাবলির আগেই কেটে উঠবে কয়লা সংকট। দেশের সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার জোগান স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তার ফলে যে সকল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লার অভাবে ধুঁকছিল এবং কয়লার চাহিদা না থাকায় একরকম বন্ধ হয়ে পড়েছিল, কয়লার জোগান স্বাভাবিক হয়ে গেলে সেই সকল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বন্ধ চাকা আবারো ঘুরতে শুরু করবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিং কয়লার মজুত বাড়ানো নিয়ে এক দীর্ঘ বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। বৈঠক শেষে তিনি টুইট করে জানান, কয়লার মজুত বৃদ্ধি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন কয়লা সংস্থাগুলির এমডির সঙ্গে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়েও যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। নর্দার্ন কোলফিল্ডকে ৩৪ রেক কয়লা উৎপাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশ জুড়ে যখন একাধিক রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার সংকট দেখা দিয়েছে তখন সেই আঁচ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের গায়ে এসে লাগেনি। তার অন্যতম প্রধান কারণ, বাংলাকে কয়লার সরবরাহের জন্য শুধু কেন্দ্রের উপরেই নির্ভর করে থাকতে হয়না। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম প্রতিদিন ১২ রেক করে কয়লা পায়। এছাড়া কোল ইন্ডিয়ার থেকে ৫ থেকে ৬ রেক মত কয়লা নেয় রাজ্য। নিজস্ব খনি থেকে কয়লা নেওয়ার কারণে বাংলায় তৈরি হয়নি কোনরকম বিদ্যুৎ বিভ্রাট। এমনকি পুজোর সময়েও নিরবচ্ছিন্ন থেকেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
এদিকে কয়লা সরবরাহ বাড়তেই ইউনিট প্রতি কয়লার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭৬ পয়সা মতন। যখন কয়লার সংকট ব্যপক আকার নিয়েছিল, তখন ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ১৪ টাকায় পৌঁছে যায়। তবে কোল ইন্ডিয়া কয়লার সরবরাহ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। আগে যেখানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহ হত ১৮ লক্ষ টনের মত, এখন সেখানে কয়লা সরবরাহ করা হচ্ছে ২০ লক্ষ টন মত। স্বাভাবিকভাবেই এক মাস আগে দেশের যে ৬২টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ভয়াবহ কয়লা সংকটে পড়ে, বর্তমানে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসছে তারা।
ব্যুরো রিপোর্ট