Daily
রাজ্যের জেলায় জেলায় এবার শিল্প কেন্দ্রগুলিতে নতুন এক্সপোর্ট ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। শিল্পোন্নয়ন নিগমের তদারকিতে জেলায় জেলায় শিল্প কেন্দ্রগুলিতে খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবে এই নতুন এক্সপোর্ট ক্লিনিক। রপ্তানি বাণিজ্যে গতি বাড়িয়ে একদিকে যেমন রাজ্যের আয় বাড়বে তেমনি তৈরি হবে প্রচুর কর্ম সংস্থানের সুযোগ।
শিল্পোন্নয়ন নিগম সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অব ফরেন ট্রেডের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেই তৈরি করেছে রোডম্যাপ। নিগমের সদর দপ্তর কলকাতায় খোলা হয়েছে এই সংক্রান্ত বিশেষ বিভাগ। শুরু হয়েছে আধিকারিক স্তরে বিশেষ প্রশিক্ষণ পর্ব। এই আধিকারিকরা জেলায় থাকা শিল্প কেন্দ্রেগুলিতে এক্সপোর্ট ক্লিনিকের মাধ্যমে জেলায় রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হবে।
সরকারি ছাতার তলায় রাজ্যের বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্রগুলোতে আসবে রাজ্যের বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানির প্রস্তাব। এক্সপোর্ট ক্লিনিকে এসে সেই প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। প্রস্তাব মনোনীত হলেই রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম ও ইন্ডিয়ান ইন্সিটিউট অব ফরেন ট্রেডের হাত ধরে সেই পণ্য পাড়ি দেবে বিদেশে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তৃতীয় ইনিংসে শিল্পোন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানিতে জোর দিয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে,
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ইস্পাত, পেট্রোপণ্য, সামুদ্রিক পণ্য, সোনা, চাল, গয়না ও চামড়ার বিভিন্ন পণ্য বিদেশে পাঠিয়ে রাজ্যের আয় হয় ৯৪৯.০৮ কোটি ডলার। বিদেশে পণ্য রপ্তানি করতে গেলে দরকার বিশেষ ধরণের এইচএস কোড। সেই এইচএস কোড তৈরির ব্যপারেও রাজ্য সরকার এবার বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছে।
জেলাভিত্তিক রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকা তৈরি করলে একদিকে যেমন রপ্তানি শিল্পোদ্যোগ বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে তেমনই এই রপ্তানি শিল্পোদ্যোগে প্রচুর দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। আসলে রাজ্য সরকার এই পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে জেলা ভিত্তিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে মরিয়া।
কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেলে রাজ্যের আয় বৃদ্ধি পাবে। রাজ্যের আয় বাড়লে সেই বর্ধিত অর্থ রাজ্যের বাজারগুলিতেই ঘোরাফেরা করবে। ফলে বাজারে তৈরি হবে চাহিদা। আর চাহিদা বাড়লেই গরগরিয়ে চলবে রাজ্যের ব্যবসার চাকাটা।
বাঁকুড়া থেকে বর্ধমান। পুরুলিয়া থেকে আলিপুরদুয়ার। রাজ্যের এই ২৩ জেলাতে বাংলার চেহারাটাই বদলে যাবে এক্সপোর্ট ক্লিনিকের হাত ধরে।
ব্যুরো রিপোর্ট