Daily
‘যাক অবসাদ বিষাদ কালো, দিপালীকায় জ্বালাও আলো’। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। তারপরেই আলোর উৎসব, দীপাবলি। ঘর থেকে উঠোন, গলি থেকে রাজপথ, সেজে উঠবে আলোর সাজে। একদিকে ইলেকট্রিক লাইট তো অন্যদিকে মাটির প্রদীপ, যেন এক প্রবহমান আলোর স্রোত। সবটা মিলিয়ে কালিপুজোর দিনগুলো যেন এক মায়ানগরীতে পরিণত হয় এই বাংলা।
কালীপুজোর আগের রাতে চোদ্দ প্রদীপ দেওয়ার একটা প্রচলন, সে তো বহুকালের। আর সেই প্রথার হাত ধরেই মাটির প্রদীপের বিক্রি বাড়ে কালিপুজোর আগে দিয়ে। আর সেই ১৪ প্রদীপের চাহিদার জন্যই মাটির প্রদীপের ব্যবসার আগুন টিমটিম করে জ্বলছে। তবে, ধীরে ধীরে চায়না লাইট বলুন বা এলইডি, বাজারে এদের রাজত্ব যত বাড়ছে, ততই যেন ফিকে হচ্ছে মাটির প্রদীপের চাহিদা।
একে তো চায়না প্রদীপের গ্লামারস এন্ট্রিতে ধীরে ধীরে লুপ্ত হচ্ছিল মাটির প্রদীপের বাজার। তারউপর আবার করোনা মহামারির বাড়বাড়ন্তে ভাটা নামলো মাটির প্রদীপের ব্যবসায়। কাজেই মাটির প্রদীপ বিক্রেতা থেকে শুরু করে শিল্পীরা, উপযুক্ত পুঁজির অভাবে সবাই এখন অথৈ জলে।
চিনা বাজারের দৌরাত্মে আজ অনেকটাই ফিকে হয়েছে বাংলার কুমোরপাড়ার শিল্পীদের মুখের হাসি। এখন তাই, সরকারি সাহায্যের দিকে মুকিয়ে রয়েছেন কুমোর শিল্পীরা।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর