Trending
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পাশের চেয়ারেই বসে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। চন্দ্রচূড় এসেছেন কলকাতা হাই কোর্টের দ্বিশত বর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। শনিবার তিনি যোগ দিয়েছেন ন্যাশনাল জুডিসিয়াল অ্যাকাডেমির একটি অনুষ্ঠানে। আর সেখানেই মমতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, তিনিও নিজেকে সেই পরিবারের সদস্য বলে মনে করেন। একইসঙ্গে বলেন, তিনিও আইনের লোক। তিন-চারটে কেস তিনি লড়েছেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য তিনি। সঙ্গে বলেন, বিচারব্যবস্থা তাঁর কাছে পবিত্র, মন্দির-মসজিদ-গির্জা-গুরুদ্বারের মত। মমতার গলাতে শোনা গেল বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের প্রশংসা। তিনি বললেন, দেশের বিচারব্যবস্থাকে উন্নত করতে চন্দ্রচূড় সাহায্য করছেন। সঙ্গে তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থায় কোনভাবেই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকা উচিৎ নয়। বিচারব্যবস্থা বিশুদ্ধ এবং সৎ থাকা উচিৎ। এদিকে দেশের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় সাংবিধানিক নৈতিকতার প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, একজন ভারতীয় যেমন চায় তেমন ভাবতে পারে। যা চায়, তা বলতে পারে, যাকে চায় তার পুজো করতে পারেন। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্যে শোনা গেল বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করার প্রসঙ্গ।
তবে এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে মমতাকে দেখে নানা মত ব্যক্ত করছেন। নানা মুনির নানা মত। আর সেখানেই যারা তৃণমূল বিরোধী তাঁরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করছেন, মমতা নাকি নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য এবং একইসঙ্গে দুর্নীতিকে আটকাতে নাকি চন্দ্রচূড়ের পাশে বসেছেন। অনেকেই এখানে সেটিং খুঁজে পাচ্ছেন। তবে আমরা মনে করি বিচারব্যবস্থা কোনভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট হওয়া উচিৎ নয়। তাই পাশে কে থাকলেন আর কে থাকলেন না সেদিকটা দেখে বিচার হওয়া উচিৎ নয়। আর চন্দ্রচূড়ের মত প্রধান বিচারপতি দেশের বহু বিতর্কিত রায় দিয়ে শিরোনামে এসেছেন। তিনি দেশের বিচারব্যবস্থাকে নতুন একটা পথ দেখিয়েছেন। আর সেটা দেখেই মনে হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি প্রধান বিচারপতির পাশে বসেন তার মানে সেটা সেটিং নয়। আপনারা কি মনে করেন জানান কমেন্ট বক্সে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ