Agriculture news
পূর্ব মেদিনীপুরের পাশকুঁড়া। ইদানিং যার খ্যাতি এবং পরিচিতি ফুলের কারণেই। বাহারি ফুল মানেই পাশকুঁড়া। কাছেই ক্ষীরাই। ফুলের টানে যেখানে বিগত কয়েক বছর যাবত ট্যুরিজম জাঁকিয়ে বসেছে। শীতকাল মানেই ক্ষীরাই। দিগন্ত বিস্তৃত বাহারি ফুল। গোলাপ, গ্ল্যাডিওলাস, চেরী, গাঁদা, অ্যাস্টার, মোরগঝুঁটি আর? আর চন্দ্রমল্লিকা। যার কদর সবচেয়ে বেশি। শীতকালগুলোতে পাশকুঁড়ার মাঠ থেকে হাটজুড়ে বেশিরভাগটাই চন্দ্রমল্লিকার রাজত্ব। আর যার বাজারজোড়া কদর- তাকে তো অবহেলা করলে চলে না। সুতং প্রস্তুতি শুরু হল আগে-ভাগেই। কারণ, এই ফুল ফুটলেই ভাত ফোটে পাশকুঁড়ার ফুল চাষিদের হেঁসেলে।
পাশকুঁড়া এখন ব্যস্ত চন্দ্রমল্লিকার প্রস্তুতিপর্বে। চলছে জমির অন্তর্বর্তী পরিচর্যা। একেবারে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে। শুধু জল বা সার দিয়েই নয়। গাছের পর্যাপ্ত বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বেশি পরিমাণে ফুল পেতে জমিতে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করেছেন চাষিভাইরা। বিদ্যুতের মাধ্যমে ল্যাম্প জ্বেলে চন্দ্রমল্লিকার চারা গাছকে বড় করে তোলা হচ্ছে। অভিনব এই পদ্ধতি কিন্তু চাষিভাইদের ভালো লাভও দেখাচ্ছে। বাকিটা শুনুন এই চাষিভাইয়ের মুখ থেকে।
বিঘা পিছু খউ, ফুল চাষিরচ ওই চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। ফুল ফোটার পর সেই চন্দ্রমল্লিকা পাড়ি দেয় ভিনরাজ্যে। কখনও বিদেশেও বাজার জমায় পাশকুঁড়ার চন্দ্রমল্লিকা। তবে বেশিরভাগটাই পৌঁছয় হাওড়ার মল্লিক বাজার ফুলের হাটে। চোখ ধাঁধানো রং। অবশ্য যে ফুল ফোটাতে এত আগে থেকে যত্ন করা হয়, সেই ফুলের বাহারে যে মন ভরবে, সেটাই স্বাভাবিক।
পাশকুঁড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে চন্দ্রমল্লিকার চাষ হয়। আর এই সময়টা বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে ফুলের ক্ষেতগুলো। কেন জানেন? কারণ মাঠের পর মাঠ বৈদ্যুতিক আলোয় আলকিত। রাতের কালো কুচকুচে ঘন অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে শুধু শীতের মরশুমকে রাঙাতে দিনরাত এক করে খেটে চলেছেন চাষিভাইরা। দেখে মনে হয় যেন ফুলের মেলা। যদিও গাছ এখনও চারা অবস্থাতেই। তবু মরশুম সহায়। তাই এইবছর ভালো ফলন আশা করছেন চাষিভাইরা।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর