Bangladesh

বাংলাদেশের সংকটে পাশে দাঁড়াবে চীন। একদিকে আর্থিক সংকট আর অপরদিকে জ্বালানি সংকট। বাংলাদেশের ভাগ্যে যেন একের পর এক বিপত্তি লেগেই রয়েছে। আর দেশের এমন দুর্দিনে চীনা সাহায্যের আর্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলদেশের ঢাকায় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন চীনা সরকার। কিন্তু চীনের মুখে বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্যের সুর? ঋণ নাকি ফাঁদ?
চীনকে সাধারণত সমগ্র বিশ্ববাসী তাঁদের কূটনীতির তাগিদেই চেনে। চীনের বিভিন্নরকম কূটনৈতিক চিন্তাধারা, পরিকল্পিত পদক্ষেপ আর নিজের স্বার্থে অন্য দেশের সাথে মিত্রতা। আর সেই চীনের গলায় এবার বাংলাদেশের পাশে থাকার সুর? চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের কোনও জরুরীকালীন পরিস্থিতিতে চীন চুপচাপ বসে থাকবেনা। বরং যতটা সম্ভব সহায়তা করবে বাংলাদেশকে। গত বুধবারের প্রেস মিটে তিনি জানান যে, এলএনজি এর মতো গ্যাসের ক্ষেত্রে চীন নিজেই একটা আমদানিকারক দেশ। তাই এই ধরণের জ্বালানি বাংলাদেশকে রপ্তানি করা চীনের পক্ষে বর্তমানে সম্ভব নয়। বরং বাংলাদেশের বিভিন্ন কারখানা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি তৈরির জন্য সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে চীনের বিভিন্ন কোম্পানিগুলি।
এছাড়াও চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী। এদিকে বাংলাদেশের বিদেশী রিসার্ভের ভাঁড়ার প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। সেক্ষেত্রেও বাংলাদেশকে চীনের মুদ্রায় বানিজ্যিক লেনদেনের পরামর্শ দিয়েছে চীনা রাষ্ট্রদূত। যেহেতু বানিজ্যিক স্বার্থে বাংলাদেশের বাজার চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটা পছন্দের জায়গা, সেহেতু চীন বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের স্বার্থ রক্ষার্থে একটা স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় চীন।
প্রসঙ্গত, ঢাকার প্রেসমিটে ঋণফাঁদ প্রসঙ্গে কথা উঠলে, সেই দাবি উড়িয়ে দেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, বাংলাদেশ শুধু চীন থেকেই ঋণ নেয় এমনটা নয়। বাংলাদেশে চীনা ঋণের পরিমাণ খুব বেশিও নয়। আর তাছাড়াও চীনা বাজারে যেভাবে বাংলাদেশী পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাতে আগামী দিনে চীন বাংলাদেশ বানিজ্যিক সম্পর্ক যে আরও উন্নত, হবে, সেকথাও বলেন চীনের রাষ্ট্রদূত। তাই, ঋণ ফাঁদ নয়, বরং বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল বানিজ্যিক সম্পর্ক চায় চীন। এমনটাই জানাচ্ছেন লি জিমিং।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ