Daily
আপনার ওয়ালেট যদি ডলারে ভর্তি থাকে, তখন হাসিটা চওড়া হবে তো নাকি…অ্যা…অ্যা…দেখেছেন, সেটাই বলছিলাম। তখন আপনার মনে হবে তো লিভ লাইফ কিং সাইজ। এখন সেটাই হচ্ছে চিনের। চাইনিজ ইকোনমি যে কি স্মুদলি ডেভেলপ করছে, কি বলব? এখন ওয়ার্ল্ডে এক্সপোর্ট কিং কে? ওনলি চিন, চিন অ্যান্ড চিন। আর যত বেশি এক্সপোর্ট, তত বেশি ডলার ইমপোর্ট…আহ, মানে কামাই, কামাই। বালিতে জিংপিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন মিঃ বাইডেন। খুশি খুশি চেহারা দুজনের। বাইডেন ভাবছে, আ মোলো যা। আমার নিজের দেশের থেকেই ডলার বেশি চিনে। আর শিংপিং তো সবসময় হাসেন। সত্যি, হাসি মুখের জয় সর্বত্র।
আসলে, একটা রিপোর্ট এসেছে কয়েকদিন আগে। এই গ্রহের কোণে কোণে শুধু এক্সপোর্ট বিজনেস চালিয়েই চিনের হাতে সবচেয়ে বেশি ফরেন রিজার্ভ। ভাবতে পারছেন? ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। চিনের পরেই আছে জাপান। অক্টোবরের শেষে চিনের রিজার্ভ ছিল ৩০৫২ বিলিয়ন ডলার। সেটা বেড়ে হয়েছে ৩৪৮০ বিলিয়ন ডলার। মানে, যখন মন্দা নামবে আর সবাই বেশ কান্নাকাটি শুরু করবে, তখন হাসবে চিন। বলবে, আরে তুমহারে পাস বাংলা হ্যায়, গাড়ি হ্যায় সব হ্যায়। লেকিন মেরে পাস ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ হ্যায়। যখন আর্জেন্টিনা, মিশর, ইকুয়েডর, ইথিওপিয়া, ঘানা, পাকিস্তানের মতন বেশ কিছু দেশের হাতে হ্যারিকেন ঝুলবে, তখন কিন্তু চিনের হাসি দিনের আলোর মত জ্বলে থাকবে। আর শুরু করে দেবে অকুপাই। আজ বন্দর চাই, কাল কারখানা চাই। সব হাতিয়ে নেবার প্ল্যান। চিনের এই প্ল্যান তো সবাই জানে। ভয়ও পায়, আহ…কমিউনিস্ট বলে নয়। এদের বিজনেস পলিসি দেখে। বিজনেস ইনসাইডার, স্ট্যাটিসটার মত একাধিক ওয়েবসাইট বলছে, চিন-তুনে জিত লিয়া দিল। কোভিডের টাইমেও চিন গুডস এক্সপোর্ট করে কামাই করেছে ২.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। পেছনে ফেলে দিয়েছে বাইডেন গভর্নমেন্টকে। আর আজ দেখুন, সবাই বলছে কিভাবে চিনের এক্সপোর্ট কোয়ালিটি হিউজ ডিম্যান্ড তৈরি করেছে ওয়ার্ল্ড জুড়ে। সে আপনি যতই বলুন, চিনের তৈরি একেবারেই টেকসই হয় না। কিন্তু চিনের হাত থেকে রেহাই পাবেন কি করে? সব তো নিয়ে বসে আছে। কুটির শিল্পের মত তৈরি হচ্ছে একেকটা পণ্য। বিদেশে সাপ্লাই আর ঘরে কামাই। এমনি এমনি মোদীজির এত গায়ের জ্বালা? আত্মনির্ভর ভারত এমনি এমনি বলা হয়েছে? এমনি এমনি এমএসএমই সেক্টরকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে মোদী গভর্নমেন্ট? চিন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে খুব তাড়াতাড়ি। ভারত এখনো সেটা পারেনি। একদিকে যখন চিনের ফরেন রিজার্ভ বাড়ছে, তখন ডলারের সঙ্গে টাকার ভ্যালু ঠিক রাখতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে আরবিআই। আর সীতারামন ম্যাডাম তো দারুণ কথা বলেছেন। ডলারের দাম বেড়েছে, টাকার ভ্যালু একই আছে। ওহ…লাভলি…
বিষয়টা হচ্ছে, যে দেশের হাতে যত বেশি ফরেন রিজার্ভ কারেন্সি থাকবে সেই দেশের অর্থনীতি ততটাই শক্তিশালী থাকবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিতে ঝড় ঝাপটা এলেও ঐ ডলার বেচে কয়েকদিন কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। তার জন্য বিভিন্ন মানিটারি পলিসি রয়েছে। ইকোনমিকে হারকিউলিসের মত স্ট্রং রাখতে গেলে, অনেক প্যাঁচ-পয়জার নিতে হয় ইকোনমিস্টদের। সব যদি খাপে খাপ হয়ে যায়, তাহলে আর শ্রীলঙ্কার মতন বাটি হাতে বসার সিন নেই। ইশ…ঐ দেশের মানুষের অবস্থা ভাবুন তো? এই অবস্থা কিন্তু অনেকগুলো দেশের। আর্জেন্টিনা, পাকিস্তান, ঘানা, ইথিওপিয়া, ইউক্রেন…ভাবতে পারছেন? ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ পুরো শেষের দিকে। বাংলাদেশেও যে রিজার্ভ দারুণ রয়েছে এমন কিন্তু নয়। মাত্র ৩৪ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ অবশ্য বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বলেছে। কিন্তু ধার মানেই ফেরত দিতে হবে। এই দেনা-পাওনার বিষয়টা বড়ই জটিল, বুঝলেন কিনা? তবে ভারতের অবস্থা এত খারাপ নয়। কারণ যে ৭টা দেশের হাতে সবচেয়ে বেশি ডলার রিজার্ভ রয়েছে তাদের মধ্যে আছে ভারত। প্রথম চিনের পরেই রয়েছে জাপান। জাপানে রয়েছে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশ রিজার্ভ। জাপানের পরেই রয়েছে সুইজারল্যান্ড। তারপর রয়েছে রাশিয়া আর তারপরেই ভারত। পুরো ফাইভ স্টার রেটিং কিনা বলুন? রাশিয়া অবশ্য এই ডলার নিয়ে কিছুই করতে পারছে না। আর ভারত তো ইকোনমিকে বাঁচানোর জন্য কিছুটা খরচের খাতায় ফেলে দিয়েছে। এই বছর জুনে ভারতে ছিল ৫৯৯ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ। রয়টারস ভয় পাচ্ছে, বছর শেষে ভারতে সেটা কমে দাঁড়াতে পারে ৫২০ বিলিয়ন ডলারে। তবে ইউকে মানে ঋষির দেশে রিজার্ভ এখন ২১৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এতেই হাসবেন না। ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিকে গোল দিচ্ছেন বলে এত আনন্দ? লেকিন হাসি তো ফাঁসি। ইকোনমি স্ট্রং করার চেষ্টা করুন। ফরেন রিজার্ভ আরও বাড়িয়ে দিন। না-হলে আর গোল দিতে পারবেন না চিনকে। অবশ্য চিন তো আগেই গোল দিয়ে বসে আছে। অলিম্পিক্স থেকে অর্থনীতি চিন এগিয়ে থাকে সবসময়। শুনলেই বুকে কেমন ব্যথা করে…চিনচিন করে তাই না? প্রতিবেদন যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করুন। সঙ্গে দেখতে থাকুন,
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ