Market
দুঃসময়েও অমানবিক চিন। একদিকে গোটা দেশ যখন ভাইরাস ত্রাসে কাবু, অন্যান্য দেশ যখন স্বেচ্ছায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার নজির গড়ছে তখন চিন সরকার শুধুই দেখছে মুনাফা! কারণ অধিকাংশ বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা সহ বেসরকারি হাসপাতালগুলি দাবি করছে, চিন থেকে সরঞ্জাম আসছে ঠিকই কিন্তু সেগুলো একেবারেই নিম্নমানের। এদিকে খরচও বেড়েছে অনেকটা।
ভারতের অবস্থা বর্তমানে যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে প্রতিদিনই দিল্লি এয়ারপোর্ট সহ দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরে করোনাকে রুখতে চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে বিভিন্ন দেশের ফ্লাইট আসা যাওয়া করছে। কিন্তু শুধু ত্রাণ দিয়ে তো আর এতো বড় দেশের মানুষগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই সরকারকে ভরসা রাখতে হচ্ছে প্রতিবেশী চিনের ওপরেই। কারণ চিকিৎসা সরঞ্জামের অধিকাংশটাই তৈরি করে চিন। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে সরঞ্জাম কেনার চাহিদা। আর এতেই চিনের পৌষমাস এবং ভারতের সর্বনাশ।
মূলত ৫ এবং ১০ লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং কনসেনট্রেটর পাঠাচ্ছে শিংপিং-এর সরকার। যার দাম চিনের একেকটি সংস্থা একেক রকম ভাবে দাবি করছে। কনসেনট্রেটরের দাম যেমন বেড়েছে তেমনই সিলিন্ডারের দামও একশো ডলার বাড়িয়ে দিয়েছে চিন। ত্রাণের কাজে এই সরঞ্জাম কেনা হলেও ছাড় দিচ্ছে না তারা।
দেশের বিশেষজ্ঞমহলের দাবি, একে অতিরিক্ত দাম তারওপর সরঞ্জামের মান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বলা হচ্ছে, চিন থেকে চিকিৎসার যে সরঞ্জাম আসছে তা এককথায় অত্যন্ত নিম্নমানের। যদিও অমানবিকতার বিষয় মানতে নারাজ চিন। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতের কাছে শুধু অভিযোগ জানান ছাড়া আর কোন উপায় কি আছে?
ব্যুরো রিপোর্ট