Market
কোভিডের বাড়াবাড়ি কার্যত ধাক্কা মারল চিনকে। হাসপাতালগুলি নাকানিচোবানি খাচ্ছে ঠ্যালা সামলাতে গিয়ে। দেখা দিয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব। এই পরিস্থিতিতেও সক্রিয় ভারত। প্রয়োজনীয় ওষুধ সাপ্লাই করবে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। স্বাভাবিকভাবেই, চিনের মতন দেশ যখন করোনা জ্বরে কাবু তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মার্কেটে যে সেই প্রভাব পড়বে, বলাই বাহুল্য। তারই সাম্প্রতিকতম উদাহরণ দেশের শেয়ার বাজার।
টানা দেড় মাস ভারতের শেয়ার বাজারের গতি ছিল ঊর্ধ্বে। কিন্তু চিনে কোভিড পরিস্থিতি ফের বেসামাল হয়ে পড়ায় সেই প্রভাব বৃহস্পতিবার পড়ল দেশের শেয়ার মার্কেটে। বাজার থেকে উধাও হয়ে গেল ৪.৪ লক্ষ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারের সূচক ২৪১ পয়েন্ট নেমে দাঁড়াল ৬০,৮২৬.২২ পয়েন্টে। অন্যদিকে নিফটির সূচকও পড়েছে কিছুটা। টানা তিন দিন সূচক নিচের দিকে যাবার কারণে নিফটির সূচক থামে ১৮,১২৭.৩৫ পয়েন্টে। তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধু করোনার ধাক্কাই শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। এর জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায় চাপানো হচ্ছে আরবিআই-য়ের একগুঁয়েমি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করার জন্য সুদ বৃদ্ধি ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই। চলতি মাসের শুরুতেই ৩৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ বৃদ্ধি করে আরবিআই। মোট ২২৫ পয়েন্ট বেড়েছে পরপর পাঁচটি দফায়। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যদি ভারতকে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করতেই হয়, তাহলে সুদ বৃদ্ধিকে হাতিয়ার করবে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আর যে কারণে সুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত খানিক নিশ্চিত হয়েই গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শেয়ার বাজারে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলাই বাহুল্য।
শেয়ার বাজারের যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রায় সমস্ত স্টকের অবস্থাই বেশ খারাপের দিকে চলে যায়। একমাত্র আইটি এবং ফার্মার স্টক ছাড়া। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, অতিমারির পর্ব এখনো শেষ হয়নি। তারপরেই ফার্মার স্টক ওপরের দিকে উঠতে শুরু করে। অন্যদিকে ক্ষতির মুখে পড়ে মেটালস এবং ফিনানশিয়াল খাত। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয় আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস, বাজাজ ফিনসারভ, আলট্রাটেক সিমেন্টের মত একাধিক সংস্থার শেয়ার। আবার উল্টো দিকে অ্যাপোলো হাসপাতাল, সিপলা, সান ফার্মার শেয়ার রইল উপরের দিকেই।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ