Daily

হাতে লঙ্কা, পাতে লঙ্কা। ভোজনরসিক বাঙালির পাতে এক টুকরো কাঁচা লঙ্কা না পড়লে আবার চলে নাকি? আর আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি প্রায় প্রত্যেকটি ভোজনরসিক বাঙালিদের স্পাইস কিং, কাঁচা লঙ্কা চাষের এক অভিনব পদ্ধতি নিয়ে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের সারদা পল্লীর কৃষক স্বপন সরকার প্রতি বছরই লঙ্কা চাষ করে থাকেন। ব্যাতিক্রম হয়নি এবারও। কিন্তু এইবারে তার চাষের ধরনটা অন্যান্যবারের তুলনায় একটু আলাদা। এইবার তিনি লঙ্কা চাষ করছেন এক অভিনব প্রযুক্তির ব্যবহার করে।
মালচিং পেপারের নাম তো আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই শুনেছি। স্বপনবাবু এবার এই মালচিং পেপারকেই এক ভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করে লঙ্কা চাষ করছেন। বিঘার পর বিঘা জমি এই পেপার দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন তিনি। কেবল রোদের জন্য লঙ্কা গাছের আগার জায়গায় রেখেছেন সামান্য গোলাকার ফাঁক। পদ্ধতিতে কেবল এইটুকু পরিবর্তনই লঙ্কা চাষে এক অন্য দিশা দেখিয়েছে তাকে। এই পদ্ধতি, একদিকে যেমন আগাছা জন্মানোকে প্রায় না এর সমান করে দিয়েছে, অন্যদিকে পোকা মাকড়ের উৎপাতকেও দমিয়ে দিয়েছে অনেকটাই।
মূলত লঙ্কা গাছের পাতার পিছনের দিকে এই পোকা মাকড়গুলো বাসা বাঁধে। অর্থাৎ সূর্যের আলোর বিপরীতে। কিন্তু এই মালচিং পেপারে যখন সূর্যের আলো রিফ্লেক্ট করে পাতার পিছনের অংশে যায় তখন সেই পোকা মাকড়গুলি সেখানে বাসা বাঁধতে পারেনা। যার কারণে ফসলেরও কোনও ক্ষতি হয়না।
মালচিং পেপারের বাজার মূল্য অনেকটাই বেশি হওয়ায় প্রথমদিকে খরচাটা তুলনামুলকভাবে একটু বেশিই হয়। কিন্তু একবার বিনিয়োগ করে এই পদ্ধতিতে চাষ করলে পরে বেশ ভালোই লাভের মুখ দেখা যাবে বলে আশাবাদী স্বপনবাবু।
গত বছরেও বাজার মন্দা ছিলনা বলে জানান স্বপন সরকার। কিন্তু এইবছর এক নতুন প্রযুক্তি দিয়ে চাষ করার দরুন ফসল নষ্ট হওয়ার চিন্তা সেইভাবে আর বিরক্ত করছে না তাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আগেরবারের চাইতে একটু বেশি লাভের আশা রাখছেন তিনি।
বিক্রম লাহা