Trending
আর্থসামাজিক বিকাশের সমাজের সর্বস্তরে প্রতিফলিত হলেও বারবার পিছিয়ে পড়েন আদিবাসী প্রান্তিক মানুষরা। সুযোগ্য পরামর্শের অভাব থাকায় তাঁদের না হয় আর্থিক বিকাশ আর না হয় সামাজিক উন্নতি। আর তাই আদিবাসী প্রান্তিক মানুষদের সামনের সারিতে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগী হল কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সহ উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সান্তালপুর নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সোসাইটি।
আলিপুরদুয়ার ২ নং ব্লকের শামুকতলা বানিয়াগাওতে প্রতিপালনের জন্য আদিবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হল উন্নত প্রজাতির মুরগী এবং ছাগলের ছানা। সান্তালপুর নাগরিক সুরক্ষা সোসাইটির সম্পাদক তথা ডিরেক্টর সদানন্দ চক্রবর্তী বিগত দশ বারো বছর ধরে আদিবাসী সমাজের আর্থ সামাজিক বিকাশের কাজ করে আসছেন। তিনি জানান,
কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ডক্টর বিকাশ রায় জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের ট্রাইবাল সাপ্লাই এর অধীনে আদিবাসীদের জীবন যাত্রার মান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পশুপালন তারই একটি অঙ্গ।
প্রাণীপালন কিভাবে করতে হয় সেই বিষয়ে জানালেন উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কোচবিহার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ডক্টর রাহুল দেব মুখোপাধ্যায়।
মুরগির ছানা এবং ছাগল পেয়ে অত্যন্ত খুশি আদিবাসীর প্রান্তিক মানুষরা। এই যেমন সুজানা বাড়া।
সান্তালপুর নাগরিক অধিকার সুরক্ষা গল্পের সোসাইটি সহ কোচবিহার কৃষি কেন্দ্র এবং উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা না পেলে আজ হয়তো আদিবাসী মানুষরা নিজেদের দিশা এখনো পর্যন্ত খুঁজে পেতেন না। তাই এলাকার মানুষরা তাদের এই লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন সবাইকে।
অভিজিৎ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার