কলকাতা যদি দুর্গার হয়, চন্দননগর তবে জগদ্ধাত্রীর। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে জগদ্ধাত্রী পুজো। তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে গোটা শহর জুড়ে। বাঁধভাঙা আলোর রোশনাই, কারুকাজ দেখতে প্রতি বছরেই দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ ভিড় জমান এখানে। কিন্তু করোনার আবহে কিভাবে এই ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব? তারই চরম প্রস্তুতি নিচ্ছে চন্দননগর প্রশাসন। অন্যদিকে, নাইট কারফিউকে কেন্দ্র করে এখনো ধোঁয়াশা থাকলেও সূত্রের খবর, প্রশাসন জগদ্ধাত্রী উৎসবের কথা মাথায় রেখে সম্ভবত নদিয়া এবং হুগলী থেকে শিথিল করতে চলেছে উৎসবকালীন নাইট কারফিউ। সূত্রের খবর, নবমী ও দশমীর রাতে সম্ভবত কারফিউ শিথিল হবে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এখনো পর্যন্ত গোটা রাজ্যেই রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউর বিধি নিষেধ বহাল রয়েছে। সম্প্রতি জগদ্ধাত্রী পুজোকে সামনে রেখে চন্দননগরের রবীন্দ্রভবনে একটি গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ।

জানা গিয়েছে, এবারে ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর মিলিয়ে মোট ৩০০ টি পুজোকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উচ্চপদস্থ থেকে শুরু করে সর্বস্তরে মোট ১৫০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন। গোটা চন্দননগর মুড়ে ফেলা হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। এমনকি গোপন ক্যামেরাতেও চালানো হবে নজরদারি। ভিড়ে শিশুরা যাতে না হারিয়ে যায় তার জন্য থাকছে বিশেষ ব্যাচ। সবমিলিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে প্রশাসনিক তৎপরতা যেমন তুঙ্গে, তেমনি বাসিন্দাদের মধ্যেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে পুজোর উন্মাদনা।

অঙ্কিত মুখার্জী
চন্দননগর