Daily
পুরনো ঢাকে নতুন চামড়া লাগিয়ে নতুন করে ঢাক বাজানোর চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদি। সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন থেকে রাজ্যগুলোকে ভ্যাকসিন পরিচালনায় স্বাধীনতা- সবই থাকল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জুড়ে।
এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ আগাগোড়াই ছিল দেশে করোনা লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের ঢক্কা নিনাদ। মোদী তার ভাষণে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলো যেভাবে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদার জোগান দিয়েছেন সে কথাও তুলে ধরেন।
তবে ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোকে স্বাধীনতা দিলেও অনেক রাজ্য এক্ষেত্রে কেন্দ্রের পরামর্শ মেনেই চলবার পক্ষপাতী বলেও ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে মে মাসের শেষ পর্যন্ত কমপক্ষে দেড় কোটি মানুষের কাজ চলে গিয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। সেখানে জাতির উদ্দেশ্যে এদিনের ভাষনে মোদীজি টুঁ শব্দটি উচ্চারণ করেননি বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে ভ্যাকসিন অস্ত্র হলেও মানুষের রুটি-রুজিও এক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে বামপন্থীদের অভিযোগ। কিন্তু মানুষ যদি খালি পেটেই থাকে, হাতে যদি কাজকর্ম না থাকে তবে কিভাবে মজবুত ভারত গড়া যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর এদিন মোদীজি দেননি বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেন।
বিগত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা যে আগামী দীপাবলি পর্যন্ত জারি থাকবে সে কথা জানিয়ে দিতে ভোলেননি মোদীজি এদিনকার ভাষণে।
সব মিলিয়ে মোদিজীর এদিনকার ভাষণকে বিরোধীরা বেশ দিশাহীন বলেই কটাক্ষ করেছেন।
ব্যুরো রিপোর্ট
বিজনেস প্রাইম নিউজ।