বি পি এন ডেস্কঃ কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে কালজয়ী ঠাওরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কালো টাকা এবং জাল নোট বাজার থেকে একরকম ভ্যানিশ হয়ে যাবার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তাই ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে বাজারে আনা হয় ২০০০ টাকার নোট। যা জাল করা বেশ কঠিন হবেও বলে দাবি ছিল তাঁর। কিন্তু বাস্তবে হল উলটপুরাণ।
২০১৮ সালে ২.৬১ লক্ষ জাল নোট ধরা পড়েছিল। ২০১৯’এ ২.১৯ লক্ষ। যদিও পরবর্তী অতিমারি বর্ষে সংখ্যা হ্রাস তো দূর অস্ত, বরং একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৮.৩৪ লক্ষে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে সংসদে একটি তথ্য পেশ করা হয়। জানান হয়, ২০২০ সালে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজারের বেশি জাল নোট ধরা পড়ে। যার অধিকাংশই ২ হাজার টাকার। এরপরেই নড়েচড়ে বসে অর্থমন্ত্রক। ক্রমশ বাজারে কমতে থাকে ২ হাজার টাকার নোট। ২০১৬ সালে ৩৫৪ কোটি ২ হাজার টাকার নোট ছাপা হয়েছিল। ২০১৮ সালে বাজারে সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ৩৩৬ কোটিতে। ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে সংখ্যাটা আরও কমে আসে, মাত্র ২৪৯ কোটিতে। অর্থমন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত দু’বছরে ২ হাজার টাকার নোট ছাপানোর বরাত দেওয়া হয় নি।
এই তথ্য আসার পরেই বিরোধীরা খোঁচা দিতে শুরু করেছেন। তাঁরা প্রশ্ন করছেন, সরকার যখন এতো বড় মুখ করে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে জাল নোট আটকানোর প্রতিশ্রুতি দিল, আখেরে লাভ কি হল? বরং জাল নোটের এমন বাড়বাড়ন্ত আরও বড় প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিল মোদী সরকারকেই।।

ব্যুরো রিপোর্ট, বিজনেস প্রাইম নিউজ