Market
টিকা, ওষুধে জিএসটি কমাতে আপত্তি দেখাল কেন্দ্র। ৫% জিএসটি বহাল থাকবে। জিএসটি ছাড় নেই পিপিই কিটেও।
এন-৯৫ মাস্কে ৫%, ভেন্টিলেটরে ১২% ও স্যানিটাইজার থেকে শরীরে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রে থেকেও ১৮% জিএসটি আদায় করবে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের বিরোধিতা করল পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ুর মত বিরোধী শাসিত রাজ্য। বিরোধিতা করলেন ৯ জন অর্থমন্ত্রী। জিএসটি হার শূন্য করার দাবি জানালেন তাঁরা।
একদিকে যখন দেশের মানুষের মাথায় অর্থসংকটের বোঝা তার মধ্যে আবার টিকা, ওষুধ সহ করোনা মোকাবিলায় অন্যান্য জিনিসের ওপর জিএসটি চাপালে দেশের মানুষ কোথায় যাবে? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। কিন্তু শত কথার পরেও ভিজল না চিঁড়ে। গত ২৮ তারিখ জিএসটি পরিষদের বৈঠকে বিষয়টা অমীমাংসিত রয়ে গেল।
অমিত মিত্রের দাবি, সিদ্ধান্ত অন্য রকম হলে ‘ডিসেন্ট নোট’ দেবেন তিনি। পাঞ্জাব এবং ছত্তিশগঢ়ের গলাতেও একই সুর। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের চাপে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন অর্থমন্ত্রী সীতারামন।
কয়েকটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে একটি গোষ্ঠী তৈরি হবে। ৮ জুনের মধ্যে দেওয়া হবে ঐ কমিটির রিপোর্ট। তারপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ভ্যাকসিন থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি ছিল, এর ফলে টিকার দাম বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্র রাজি ছিল না। ২৮ তারিখের বৈঠকে ভ্যাকসিনে ০.১ শতাংশ জিএসটি করার দাবি জানালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। কিন্তু সেদিনেও সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ থাকল কেন্দ্র। ফলে, আবারও কেন্দ্রের সঙ্গে অবিজেপি রাজ্যগুলির মধ্যে একটা বিবাদ তৈরি হল।
এদিকে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। কর ছাড় পেলে দাম বেশ কিছুটা কমে যায়, এটা সত্যি। ফলে করোনা চিকিৎসায় কিছুটা স্বস্তি পান সাধারণ মানুষ। এখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হতে চলেছে সেদিকে নজর রাখা ছাড়া আর কোন উপায় রইল না।
ব্যুরো রিপোর্ট