Market

নারকেল উন্নয়ন পর্ষদ নিয়ে বড় রকমের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। চেয়ারম্যানের পদকে নন-এগজিকিউটিভ পদ করার পাশাপাশি বাড়ানো হল সদস্য সংখ্যা। এতদিন পর্যন্ত নারকেল উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য সংখ্যা ছিল চার জন। আরও দুজন বাড়ার পর বর্তমানে সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ছয়। এর মধ্যে একজন গুজরাতের এবং আরেকজন অন্ধ্রপ্রদেশের। কিন্তু আদৌ কি কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত নারকেল চাষে বড় রকমের পরিবর্তন আনতে পারবে?
পর্ষদ সূত্রে খবর, নারকেল উন্নয়ন পর্ষদের কারণেই আজ ভারতে নারকেল চাষের এত রমরমা। এমনকি নারকেল রপ্তানিতেও ভারত বিশ্ববাজারে রয়েছে প্রথম সারিতেই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, নারকেল চাষে ভারত যে ব্যপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু এত কিছুর পরেও নারকেল চাষিদের মধ্যে একটা ক্ষোভ রয়েই গিয়েছে। তার অন্যতম হল, নারকেল চাষিরা এখনও পর্যন্ত বড়সড় প্রযুক্তির সংকটে ভুগছেন। এমনিতেই নারকেল গাছের উচ্চতা অনেকটা বেশি। এই পরিস্থিতিতে নারকেল গাছে ওঠার জন্য এখনও নিজের ওপরেই ভরসা রাখতে হয়। কারণ নারকেল গাছে ওঠার জন্য যে মেশিনের প্রয়োজন হয় সেই মেশিন অধিকাংশ চাষিদের কাছেই এসে পৌঁছয়নি। এছাড়াও রয়েছে নারকেল গাছে ভয়ঙ্কর পোকার উপদ্রব। যা নারকেলের গুণগত মান অনেকটাই কমিয়ে আনে। ফসল ফলিয়েও ভালো দাম থেকে ব্রাত্য থাকতে হয় নারকেল চাষিদের। এখন দেখার, যে অভিযোগ এতদিন পর্যন্ত নারকেল চাষিদের মধ্যে ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই নারকেল চাষিরা নারকেল উন্নয়ন পর্ষদে বদল আনার জন্য কোনরকমভাবে লাভবান হতে পারেন কিনা।
ব্যুরো রিপোর্ট