Daily

ডিজিটাল জগতে সাইবার ফ্রড হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বাড়তে থাকে ডিজিটাল পেমেন্ট অপশনের চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিজিটাল প্রতারকদের সংখ্যাটাও। একাধিক অভিযোগ উঠতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। নাগরিকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে চালু করলো নতুন হেল্পলাইন নম্বর।
গত পয়লা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে এপ্রিলই হেল্পলাইন নম্বর ১৫৫২৬০ চালু হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশের ছত্তিশগড়, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশের সাতটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রয়োগ করা হচ্ছে। দেশের প্রায় ৩৫% এই বেশি মানুষকে ইতিমধ্যেই কভার করা গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত এই হেল্পলাইন নম্বরটিতে অভিযোগের ভিত্তিতে, গত ২ মাসের মধ্যেই ১.৮৫ কোটি টাকারও বেশি জালিয়াতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এরফলে সাইবার জালিয়াতির বড় দলগুলির পর্দা ফাঁস করা গিয়েছে।
মানুষের কষ্টের টাকা যাতে নষ্ট না হয় সেই কথা মাথায় রেখে এই জাতীয় হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়। কিভাবে কাজ করে এই নম্বরটি? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
হেল্পলাইন নম্বরটি রাজ্য পুলিশ দ্বারা পরিচালিত একটি নম্বর। পুলিশ, প্রতারণামূলক লেনদেনের বিবরণ এবং অভিযোগকারীর ব্যক্তিগত বিবরণ নোট করে। এর পরে একটি টিকিট জেনারেট করে।
জেনারাটেড টিকিটগুলি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক, ওয়ালেট এবং ব্যবসায়ীদের বিতরণ করা হয়।
অভিযোগকারীর কাছে অভিযোগের স্বীকৃতি নম্বর সহ একটি এসএমএস পাঠানো হয়। সেই নম্বরটি ব্যবহার করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাতীয় সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জালিয়াতির অর্থ যদি ব্যাঙ্কে থাকে তাহলে সেটাকে আটকে দেওয়া হয় যাতে প্রতারক সেই টাকা তুলতে না পারে।
অর্থ অন্য ব্যাঙ্কে স্থানান্তরিত হলে, টিকিটটি সেই ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়। প্রতারকদেরদের হাত থেকে অর্থ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
ব্যুরো রিপোর্ট