Daily

করোনার দুটো ঢেউ কাটিয়ে উঠলেও রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রূকুটি। আর এই তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়ের মধ্যেই শুরু হচ্ছে উত্সবের মরসুমও। এমন আবহে রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে সাবধান করল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরামর্শ দিয়েছে উত্সবকে মাথায় রেখে স্থানীয়স্তরে বিধিনিষেধ বলবত্ করে গণসমাবেশ করার।
১৯ অগাস্ট মহরম দিয়ে উৎসবের মরসুম শুরু। তারপর রয়েছে জন্মাষ্টমী, গণেশ চতুর্থী, বিশ্বকর্মা পুজো এবং দুর্গাপুজো। সারা দেশজুড়ে সেই উৎসব চলবে দীপাবলি পর্যন্ত। উত্সবের মরসুমে স্বাধীনভাবে মানুষ মেলামেশা করলে কোভিড বিপদ বাড়বে বৈ কমবে না! সে কথা মাথায় রেখেই সমস্ত রাজ্যকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ।
এই চিঠিতে বলা হয়েছে,’উত্সবে জনসমাগম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। কোভিড নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষা,চিহ্নিতকরণ, চিকিত্সা, টিকাকরণ ও কোভিড-আচরণ এই ৫ কৌশল কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। তাতে কোনওরকম শিথিলতা এ পর্যন্ত কোভিড অতিমারি নিয়ন্ত্রণে দেশ যতখানি এগিয়েছে, তা অনেকখানি হারিয়ে ফেলবে।’
দ্বিতীয় ঢেউ এখনও চলে যায়নি বলে বারবার সতর্ক করে চলেছে কেন্দ্র। ডেল্টা শ্রেণির ভাইরাস ইতিমধ্যেই মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ৮টি রাজ্য ‘আর ফ্যাক্টর’ ১-র উপরে। এতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ভাইরাস এখনও কতটা সংক্রামক। পশ্চিমবঙ্গে ‘আর ফ্যাক্টর’ এখন ১। দুর্গাপুজো নিয়ে ইতিমধ্যেই তত্পরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। গতবার হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়ন্ত্রিতভাবে পুজো আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তারা। এবারও ১৪ দফা কোভিড বিধি তৈরি করেছে ক্লাবগুলির ফোরাম। তবে পুজো কীভাবে হবে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্যুরো রিপোর্ট