Daily
মানুষের স্বাস্থ্য খারাপ হলে যেমন প্রয়োজন পড়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের। তেমনি মাটির স্বাস্থ্য খারাপ হলেও প্রয়োজন পড়ে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার। সম্প্রতি ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের নোয়াখালীর জিএন হরিনারায়ন বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালযে শস্য-শ্যামলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র ও আইসিএআর নিনফেটের যৌথ উদ্যোগে ২৫০ জন কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হল মাটি স্বাস্থ্য কার্ড।
দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদের প্রয়োজনে কৃষকদের রাসায়নিক সার ব্যবহার করাটাই দস্তুর। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে রাসায়নিক সার ব্যবহার করার জন্য ক্রমশই মাটি তার উর্বরা শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফসল হলেও লেগে থাকে রোগ-পোকার আক্রমণ। তাই জৈব সারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। সেই বার্তা অবশ্য এই অনুষ্ঠানেও কৃষকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তার সঙ্গে জানানো হয়েছে মাটির স্বাস্থ্য এখন কেমন আছে। এই এলাকার সকল কৃষকরা তাদের জমির মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তুলে দিয়েছিলেন কৃষি বিজ্ঞানীদের হাতে। আর সেই মাটি বিশ্লেষণ করেই জমির মাটির উর্বরতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিলেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
মাটির স্বাস্থ্য যেমন কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের জানানো হল। তেমনি বিকল্প চাষ হিসেবে পাট, কলা বা আনারসের মত প্রাকৃতিক তন্তুর জন্য এই ধরণের চাষেও গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ বলে জানালেন বিজ্ঞানীরা। যা কৃষকদের আর্থিকভাবেও অনেকটা সাহায্য করবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন প্রথাগত ট্রেনিং। যা নিনফেট মাঝেমধ্যেই কৃষকদের দিয়ে থাকে।
তবে এই মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিভাবে একজন কৃষককে চাষাবাদ করতে সাহায্য করছে সেই বিষয়টাও উঠে এলো শস্য-শ্যামলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞানী নারায়ণ চন্দ্র সাউয়ের গলায়।
ফসলের গুণমানের সঙ্গে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির যোগসূত্র রয়েছে ভালোরকম। তাই ফসল যত ভালো হবে। কৃষকও সেই অনুপাতে দেখতে পাবেন লাভের মুখ। বিজ্ঞানসম্মতভাবে চাষ করলে কৃষকরা কতটা উপকৃত হবেন, সেই ছবিটাই যেন ফুটে উঠল এদিনের এই অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞানী নারায়ণ চন্দ্র সাউ ও আইসিএআর নিনফেটের মুখ্য বিজ্ঞানী দেবপ্রসাদ রায় সহ একঝাঁক বিজ্ঞানী।
দীপান্বিতা দাস
দক্ষিণ ২৪ পরগনা