Daily

অলি-গলি থেকে শুরু করে বাড়ির ব্যালকনি। কিংবা ব্যস্ত শহরের রাজপথ। দীপাবলি বা কালীপূজো বলতেই মাথায় আসে আলোর স্রোতে এক মনমুগ্ধকর পরিবেশ। কিন্তু এসবের মাঝেই, বর্তমানে দাঁড়িয়ে ইলেকট্রিক টুনি বালব আর চাইনিজ ডিজিটাল আলোর দাপটে কোথাও যেন ঢাকা পড়ে গিয়েছে মোমবাতির আলো। সারাবছর ছবিটা অন্যরকম থাকলেও, কালীপূজোর আগে যতই বাজারে নতুন নতুন এলইডি লাইট আসুকনা কেন, মোমবাতি বা প্রদীপের সিখার সেই আভিজাত্যটার সাবস্টিটিউট কিন্তু আর অন্যকিছু হয়না। স্বাভাবিকভাবেই দীপাবলির আগে এর চাহিদা থাকে আকাশছোঁয়া। তাই রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়ার, “সন্ধ্যাতারা” মোমবাতি কারখানার শ্রমিকদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।
গত দু-বছর করোনার দাপটে উৎসব ব্যপারটা কিছুটা ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের কাছে। কিন্তু এই বছর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। মানুষ আবার উৎসব পালন করছে আগের মতো উৎসাহ নিয়ে। আর তার প্রভাব পড়েছে এই মোমবাতি শিল্পেও। গত দু বছরের তুলনায় বেশ ভালোই চাহিদা বেড়েছে এই বছর।
কিন্তু এসবের মাঝেও পিছু ছাড়েনি কাঁচামালের চড়া দাম। উৎপাদন মূল্য বেশি হয়ে পড়ায় লাভের মাত্রা অনেকটা কমে এসেছে কারখানার মালিকদের।
বাজারের অনেকটা অংশ এলইডি লাইট দখল করলেও সেটাকে অবশ্য খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেননা মোমবাতি উৎপাদনকারী কারখানার মালিকরা। কারণ তারাও মনে করেন যে মোমবাতির আলোর আভিজাত্যের কোনও সাবস্টিটিউট হয়না।
উৎসবের আলোকে আরও রঙিন করে তুলতে শুধু উত্তর দিনাজপুরই নয়। বাঙলার দূরদূরান্ত অবধি মোমবাতি সরাবরাহ করে চলেছে ‘সন্ধ্যাতারা’। এখন এই মোমবাতির আলোর আভিজাত্যে, উৎসবের হাত ধরে, আরও কতোটা তাঁদের ব্যবসার ভিত মজবুত করতে পারে তারা সেটাই লক্ষণীয়।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর