Daily
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে নাকানিচোবানি খেয়ে আমেরিকা পাড়ি দিয়ে ওভাল অফিসে জো বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর এবং আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর ভারতের উদ্বেগের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই মুখোমুখি বৈঠক করলেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওভাল অফিসে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের আগেই একপ্রস্থ ঘরোয়া আলাপ আলোচনা সেরে নেন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের সঙ্গে। মিস ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকে।
আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও চিনকে নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা অজানা নয় মার্কিন রাষ্ট্রপতি মিঃ বাইডেনের। স্বাভাবিকভাবেই নরেন্দ্র মোদীজির সঙ্গে একান্ত আলোচনায় এই প্রসঙ্গগুলি উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন সময়ে আমেরিকা পাড়ি দিলেন যখন ওভাল অফিসেই আমেরিকার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে নিয়ে তৈরি কোয়াড কনফারেন্সেও জানিয়ে দিলেন ভারতের উদ্বেগের কথা।
আফগানিস্তান, চিন ও পাকিস্তান প্রশ্নে যখন এশিয়া মহাদেশ উদ্বিগ্ন ঠিক তখনই নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বের প্রশ্নে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে মিস্টার প্রেসিডেন্ট বাইডেন সমর্থন করেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
একইসঙ্গে ফোর্ড ইন্ডিয়া, আমেরিকান জেনারেল মোটর্স, হার্লে ডেভিডসন সহ প্রায় ৬টি বহুজাতিক মোটর কোম্পানি ভারত থেকে তাদের শাখা গুটিয়ে নেওয়ার পথে। কোম্পানিগুলি যাতে পুনরায় ভারতে তাদের ব্যবসা চালু রাখে সে ব্যপারেও আলোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের মত জনবহুল দেশে করোনায় বেসামাল হয়ে আর্থিক বৃদ্ধি যখন এখনও তলানিতে ঠিক সেই সময় মার্কিন সফরে গিয়ে বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কোয়াড কনফারেন্সে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার। আর নতুন অধ্যায়ে বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকা কী হবে সেটাও রয়েছে নজরে।
ব্যুরো রিপোর্ট