Daily
বাংলাদেশের বর্তমান যা আর্থিক অবস্থা, তাতে শ্রীলঙ্কার মতন দেউলিয়া হবার কথা অনেকেই ভেবেছেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই নিয়ে আর্থিক বিশেষজ্ঞরা অনেক কথা বললেও, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গলায় শোনা গেল একেবারে উল্টো সুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাবি, বাংলাদেশ কখনই শ্রীলঙ্কা হবে না। কারণ, বাংলাদেশ প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলে সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনার কথা মাথায় রেখেই। তিনি মনে করেন, করোনা পরবর্তী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্ব যেভাবে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, সেই সকল সমস্যাকে কাটিয়ে উঠবে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতন হচ্ছিল ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে। সেই দায় তিনি চাপিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপির উপরে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই সময় দেশ ভালোরকম দুর্নীতির শিকার হয়েছিল। সেই সময় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, বিদ্যুতের হাহাকার, জলকষ্ট, বেকারত্ব সবই বহাল ছিল সেই সময়। শ্রীলঙ্কার মতন অবস্থা সেই সময় তৈরি হতে পারত। কিন্তু আওয়ামি লিগ বাংলাদেশকে সেই অবস্থা থেকে বের করে আনতে পেরেছে। সুতরাং বর্তমান বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা হবার মতন কোন পরিস্থিতিই নেই। এমনকি বৈদেশিক ঋণের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যে অঙ্কের বা যে সকল জায়গা থেকে বৈদেশিক ঋণ নিয়েছেন, তাদের সময়মত শোধ করার ক্ষমতা বাংলাদেশ রাখে। বাংলাদেশ যে এগোচ্ছে, তার অন্যতম প্রধান মাইলফলক হচ্ছে, নিজেদের টাকায় নির্মাণ করা পদ্মা সেতু।
ইতিমধ্যেই ভারত সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন, ভারত বাংলাদেশের সবথেকে বড় বন্ধু। তাই সবরকম সমস্যার সমাধান বন্ধুত্বের মাধ্যমেই সম্ভব। এবার তিনি দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্য নিয়েছেন। যে কারণে অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই সমস্যা দূরীকরণে পরের পর ধাপ পেরিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ