Story
হাই সুগার! অগত্যা কেক খাওয়া ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু বড়দিন কি আর সেসব নিষেধ মানে?
বড়দিন বলে কথা! অফিস ফেরত একটা কেক হাতে নিয়ে না ফিরলে কি আর জমে? তাই মূল্যবৃদ্ধির বাজারেও দিব্বি জমে উঠলো কেকের ব্যবসা।
ক্লান্তি নেই, বিরক্তি নেই। আছে শুধু কেক কেনার উৎসাহ। উৎসব প্রিয় বাঙালির তো উদযাপনের একটা উপলক্ষ লাগে। আর তাই বড়দিন মানে শুধু উৎসবের আমেজ নয়। এক বিশাল ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও বটে। হিসেব বলছে, শুধু এই বছরেই কোটি টাকার কেক বিক্রি হয়েছে কোলকাতা এবং তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে।
আসলে মরশুমী ব্যবসা এখন একটা ট্রেন্ড বলতে পারেন। নামীদামী কেকের দোকান বা ধর্মতলার ইহুদি বেকারি তো রয়েছেই। কিন্তু শুধু বড়দিনেই দুটো বাড়তি পয়সা রোজগারের আশায় রাস্তার ধারে অস্থায়ী দোকান দিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
মেট্রোতে উপচে পড়া ভিড়, ইতিউতি পিকনিকের রমরমা একইসঙ্গে ভিন্ন ধরণের কেক কেনার চাহিদা- আরও একবার বুঝিয়ে দেয় বড়দিন নিয়ে কোলকাতাবাসীর উন্মাদনা চিরন্তন। যে উন্মাদনায় ভরসা করেই হাজার হাজার ব্যবসায়ীরা কেক্র অস্থায়ী দোকান সাজান ফুটপাথ জুড়ে। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি যেহেতু উৎসবের ভরা মরশুম- তাই এই সময়টা কেউ কেকের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আদর্শ সময়। চাহিদা দারুন থাকায় বিক্রিবাট্টা নিয়ে ভাবতে হবে না।
আসলে কেক কেন্দ্রিক অর্থনীতি আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। যেভাবে দিনের পর দিন মানুষের মধ্যে উদযাপনের উৎসাহ বাড়ছে, তাতে এটুকু আশা করা যায় যে- কেক ব্যবসায় আসার কথা কেউ ভাবলে, তিনি হতাশ হবেন না। অন্তত এই বড়দিনকে কেন্দ্র করে এলে। অনেকের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে, বড় বড় দোকান থাকতে তাদের কেক কেন কিনবে মানুষ? দেখুন খাবারের ব্যবসার ক্ষেত্রে প্যাকেজিং-টাকে যদি একটু গুরুত্ব দেওয়া যায়, তাহলে বিশেষ কিছু চিন্তা ভাবনা না করলেও চলবে। সত্যি বলতে এই সময়টায় সাধ্যের মধ্যে অসাধারণ কেক কেনার হিড়িক সাধারণ মানুষের মধ্যে থাকেই।
সুব্রত সরকার
নদীয়া