Market
বিপাকে অ্যামাজন থেকে ফ্লিপকার্ট। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে এই দুই প্রথম সারির ই-কমার্স সাইটের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল যে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্ট দেশের বাণিজ্য নীতি লঙ্ঘন করেছে। এবং তার জেরে কার্যত চরম বিপদের মুখে দেশের মাঝারি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই কর্ণাটক হাই কোর্টের রায় কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের পক্ষে গেছে। এবার সেই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করতে চলেছে সিসিআই বা কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গয়ালের কাছে আবেদন পত্রও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন এই দুই জনপ্রিয় সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ?
ভারতের বাণিজ্যনীতি অনুসারে কোন পণ্য শুধুমাত্র ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু এই নির্দেশ বারবার অমান্য করেছে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের মত দুই জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট। কারণ ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে স্মার্টফোনের দাম এই দুই সংস্থা গ্রাহকদের ধরে রাখার জন্য এতটাই কম দামে বিক্রি করছে যে তার দরুন চরম বিপদে পড়ছে দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিকভাবেই তাদের পক্ষে ই-কমার্স সাইটগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে গ্রাহক ধরে রাখার মত কোন অবস্থাই তৈরি হচ্ছে না।
এছাড়াও রয়েছে আইন লঙ্ঘনের ব্যপার। কোন বিদেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম কোন রিটেলারকে নিজেদের প্ল্যাটফর্মের অংশ ছেড়ে দিতে পারে না। যে আইন বারবার ভেঙেছে অ্যামাজন। এবং সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে যাবতীয় সমস্যা। তাই কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান হয়েছে, অবিলম্বে আইন সংশোধন করার ব্যপারে। বাণিজ্যনীতির যে ফাঁক দেখিয়ে এই দুটি সংস্থা ঝামেলার হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাবে।
ব্যুরো রিপোর্ট