Market

অতিমারি পরিস্থিতির কারণে একেবারে বদলে গেছে কাজের পরিবেশ। অফিস হয়ে উঠেছে নিজের বাড়ির চার দেওয়াল। সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কোন অফিসই চায়নি কর্মীদের অফিসমুখো করতে। পরিবর্তে কর্মীদের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে অফিসের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। কিন্তু এখন আবার পরিস্থিতি ক্রমশ ঠিক হচ্ছে। ক্রমশই নিম্নমুখী সেকেন্ড ওয়েভের গ্রাফ। ফলে বেশ কিছু অফিস আবার যথাযথ অফিস কালচারেই কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তবে অল্প সংখ্যায়। কিন্তু কাজের পরিবেশ শুধু অফিস বা বাড়িই হবে কেন? তাই এক নতুন তৃতীয় বিকল্পের কথা ভাবছে টাটা। মঙ্গলবার এক সম্মেলনে এই তৃতীয় বিকল্পের কথাই শোনালেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরন।
কাতারের এক ইকোনমিক ফোরামে তিনি জানিয়েছেন, কর্মীদের কর্মস্থলের সুবিধে করে দিলে লাভবান হবে সংস্থাই। কারণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও তা কখনই করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসবে না। তাই তাঁর বক্তব্য, যদি কেউ অফিসে এসে কাজ করতে চান তাহলে তাঁকে অফিস এবং বাড়ির মাঝামাঝি কোন জায়গায় নিয়ে এসে কাজ করানোর ভাবনাচিন্তা করছে সংস্থা। যাকে স্যাটেলাইট অফিসও বলা যেতে পারে। হাইব্রিড মডেলে বাড়ি বা অফিস নয়, এই তৃতীয় বিকল্পেই কাজ করবেন সংস্থার কর্মীরা। এবং এই সুযোগ তৈরি করা হলে মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধে হবে। ফলে ক্রমশই বাড়বে মহিলা কর্মীর সংখ্যা।
উল্লেখ্য, গত বছর পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করায় টাটার ৫ লক্ষ কর্মচারী বাড়িকে অফিস বানাতে বাধ্য হয়। কর্মীরা যার যার বাড়ি থেকেই কাজ করতে শুরু করেন। তবে টাটা কনসালটেন্সি জানায়, পরিস্থিতির উন্নতি হলে এক চতুর্থাংশ কর্মী অফিস আসবেন। বাকিরা কাজ করবেন বাড়ি থেকেই। অন্তত ২০২৫ সাল পর্যন্ত এভাবেই এগিয়ে যাবে টাটা। বর্তমানে এই সংস্থায় কর্মরত মোট অফিসকর্মীর ২৩% মহিলা।
ব্যুরো রিপোর্ট