Trending
দেখ কি কাণ্ড! এক লহমায় খেলা ঘুরে গেল! তাও আবার এইভাবে! তো কর্মী ছাঁটাইয়ের আসল রহস্য এখানে লুকিয়ে? কি আন্দাজ করতে পারছেন, কার কথা বলছি? বাইজু। ভারতের সবচেয়ে বড় এডটেক জায়েন্ট কোম্পানি বাইজু। সম্প্রতি ফুটবল কিং লিওনেল মেসিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত করেছে বাইজু। বাইজুর পাইলট ক্যাম্পেন ‘এডুকেশন ফর অল’ এর মুখ হিসেবে থাকছেন দ্য গ্রেট কিং মেসি। ওয়াও! আর এই ঘোষণার জাস্ট ৪৮ ঘণ্টা আগেই প্রায় ২৫০০ কর্মীকে কোম্পানি থেকে বরখাস্ত করেছে তারা। ক্যাম্পেনের মোটো নিয়ে কোন কথা হবে না। সত্যি তো, শিক্ষায় তো সকলের অধিকার রয়েছে। কিন্তু ‘এডুকেশন ফর অল’ করতে গিয়ে নিজের কোম্পানির বিশ্বকর্মাদের ‘চাকরি গন’, ডিসিশনটা কি ঠিক হল?
তো এমন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এডটেক জায়েন্ট বাইজু কি বলছে? কেন কর্মী ছাঁটাইয়ের মত এত কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হল বাইজুকে? আর কেনই বা লিওনেল মেসিকে এত টাকা দিয়ে ব্র্যান্ড অ্যামবাসেডর করলো তারা? কোম্পানির সিইও বাইজু রবিন্দ্রন জানিয়েছেন যে, বাইজুর ব্যবসায়িক কন্ডিশন এই মুহূর্তে বেশ টালমাটাল। কোম্পানিকে আবারও লাভজনক পথে নিয়ে আসতে হলে একটা বড় অঙ্কের মূল্য চোকাতে হবে। আর তাই বাধ্য হয়েই সংস্থার ৫% কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তাকে। এক্ষেত্রে তিনি নিরুপায়। তবে এক্ষেত্রে রবিন্দ্রনের হয়ে সাপাই গেয়েছেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পরামর্শদাতা সৈয়দ নাদিম জাফরি। এবিষয়ে তিনি আবার টুইটারের কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন। যাই হোক এসব অন্য প্রসঙ্গ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোম্পানির যদি সত্যিই এমন দুরবস্থা হয়, তাহলে লিওনেল মেসিকে ব্র্যান্ড অ্যামবাসেডর করার মতো ফাণ্ড আসছে কোথা থেকে? আর কেনই বা এত লোক থাকতে মেসিকেই বেছে নেওয়া হল?
লিওনেল মেসির সঙ্গে চুক্তি করতে কত ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট লেগেছে, সে বিষয়ে যদিও কোম্পানি মুখ খোলেনি। কিন্তু কেন মেসি? এই বিষয়টা জানা গিয়েছে। দেখুন মেসির জার্নির গ্রাফটা যদি ফলো করেন, তাহলে বাইজুর সঙ্গে আপনিও একমত হবেন যে, মেসি হচ্ছেন, “দ্য গ্রেট লার্নার অফ অল টাইম”। ডেডিকেশন, ডিটারমিনেশন অ্যান্ড ড্রাইভ- এই থ্রি ডি-কেই মূল মন্ত্র করেছেন তিনি। আর ইয়াং জেনারেশনের কাছে এর চেয়ে অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ফেস আর কি হতে পারে? আর ঠিক তাই জন্যই ‘এডুকেশন ফর অল’ ক্যাম্পেনের মুখ্য হিসেবে রাখা হল মেসিকে।
কিন্তু কোম্পানির এত স্বীকারোক্তিতেও যে ধন্দ কাটছে না। প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ২০২২ সালের কাতার ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপে অফিসিয়াল স্পন্সররার ছিল বাইজুস। ফুটবলের ফ্যানবেস হচ্ছে ৩.৫ বিলিয়ন মত। কিন্তু লিওনেল মেসির একারি ফ্যানবেস হচ্ছে ৪৫০ বিলিয়ন মত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাইজুসের এই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মার্কেটে যে ভিলেনমার্কা ইমেজ তৈরি হল, সেটায় মলম লাগানোর জন্যই কি লিওনেল মেসির ফ্যানবেসকে ব্যাবহার করতে চাইছে বাইজুস?
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ