Story
পেরিয়ে গিয়েছে ১৩টা দিন। একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ গোটা ইউরোপে ছড়াচ্ছে উত্তেজনা। অন্যদিকে জেদি মনোভাব ধরে রেখেছেন তিনি। কারুর কাছেই নোয়াবেন না মাথা। আর যে কারণেই ইউক্রেনের উপরে হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে বিন্দুমাত্র ভাবছে না পশ্চিমি দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়া কি আদৌ ভয় পাচ্ছে?
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিন যখন যুদ্ধ ঘোষণা করেন তখন হতভম্ব হয়ে পড়ে গোটা বিশ্বই। ইউক্রেনের একের পর এক শান্তভূমিগুলো যখন কেঁপে উঠতে শুরু করল বোমাবর্ষণ এবং র্যাপিড ফায়ারিংয়ে। তখন পশ্চিমি দেশসহ কেউই ভাবতে পারেনি পুতিনের এই আগ্রাসী মনোভাবের জোর কতটা। কিন্তু মাথা নোয়াবে না কেউই। পুতিন চিরকালই রাশিয়াকে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বাহুবলের থেকে বেশি ব্যবহার করেছেন মাথার। এবার আমেরিকাও সেটাই করল। হাতে না মেরে বরং ভাতে মারার চেষ্টা করতে শুরু করল তারা। সঙ্গ দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আর যে কারণে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করবে না বলে জানিয়ে দিল। আমরা জানি যে, পুতিন আসনে বসার পর থেকে এই তিনটি জিনিস গোটা বিশ্বে রফতানি করার ব্যাপারে এগিয়ে থেকেছে রাশিয়াই। কিন্তু জো বাইডেনের হুঁশিয়ারি পৌঁছল রাশিয়ায়। বাইডেনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রাশিয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যে ইতি টানল বিশ্বের প্রথম সারির বেশ কিছু সংস্থা। পেপসি, কোকা-কোলা বা ম্যাকডোনাল্ডস থেকে নেটফ্লিক্স, লিভাইস। বাইডেন জানিয়ে দিলেন পুতিন কোনদিনই ইউক্রেন দখল করতে পারবে না। রাশিয়ার এই আগ্রাসী মনোভাবই একদিন রাশিয়ার বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে ভারত সহ বিশ্ব বাজারে দেখা দিয়েছে ব্যাপক অনিশ্চয়তা। মনে করা হচ্ছে, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি পৌঁছে যেতে পারে ৩০০ ডলারে। আর সেই আঁচ এসে পড়তে পারে ভারতেও। কিন্তু এখনো ভারতে তেলের দাম আর নতুন করে বাড়েনি। কিন্তু সেটা কতদিন? ভারতের শেয়ার বাজারে পড়েছে সেই অনিশ্চয়তার আঁচ। সবমিলিয়ে এখন যেন রাশিয়াকে কোনঠাসা করতে একজোট হয়েছে গোটা ইউরোপ থেকে শুরু করে ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা। কিন্তু যত যাই হোক। এতো কড়া বার্তা বা নিষেধাজ্ঞা কি আদৌ রাশিয়াকে ভয় দেবে? রাশিয়ার সিংহাসনে যিনি রয়েছেন তাঁকে অনেকেই এখন রাশিয়ার জার বলে থাকেন। হ্যাঁ। সেই ভ্লাদিমির পুতিন। যিনি রাশিয়াকে দেখতে চান পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে। সেদিক থেকে কিছুটা সফলও বটে পুতিন। আজ যে মানুষটার দিকে চোখে চোখ রেখে সেভাবে কেউ কথাই বলতে পারে না, সেই পুতিন কিভাবে রাশিয়াকে পৌঁছে দিলেন একেবারে ওপরের দিকে? সেই গল্পটাও কিন্তু কম রোমহর্ষক নয়।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ