Agriculture news
বৃষ্টি হলেও জ্বালা, না-হলেও জ্বালা। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে বানভাসি অবস্থা হবে। তখন বন্যা কবলিত মানুষের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এদিকে বৃষ্টি না-হবার কারণে যদি শুকিয়ে যায় নদী, তখন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় নৌকো কারিগরদের। মার খায় নৌকো ব্যবসা। অর্থাৎ প্রকৃতিকে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে। কিন্তু প্রকৃতি কি আর মানুষের কথা শুনে চলবে? অতএব উপায়? উপায় কিছুই নেই। একদিকে বন্যা বিধ্বস্ত মানুষগুলো স্মৃতিচারন করে অতিবৃষ্টি না-হবার কথা বলছেন, অন্যদিকে বৃষ্টি হোক এটাই চাইছেন যারা নৌকো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টা ক্লিয়ার করা যাক এই প্রতিবেদনে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কুলিক নদী, নাগর নদী। একটা সময় ছিল যখন বাঁধ না-থাকার কারণে রায়গঞ্জের জগদীশপুর, গৌরী, লেঙ্গীয়া কিংবা সংলগ্ন কাচনা এই সব এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হত। ফলে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হত নৌকা। পরবর্তীতে বাঁধ তৈরী হলেও অতিবৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি পিছু ছাড়েনি। প্রতিবছর এই সময় বন্যার মরশুমে নৌকার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। রায়গঞ্জে রাসবিহারী মার্কেট চত্বরে সারিবদ্ধ ভাবে নৌকার পসরা বসে। বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে নৌকা সংগ্রহ করেন। কিন্তু এবছরে এখনও পর্যন্ত যে ছবি উঠে এসেছে তাতে নৌকার কদর সেই অর্থে নেই। অনেকেই বলছেন এবছরে বৃষ্টিপাতের পরিমান তুলনামূলক ভাবে কম থাকায় নদীর জল সেভাবে বাড়েনি। তাতে একদিকে যখন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন স্বস্তিতে রয়েছেন। তখন অন্যদিকে মাথায় হাত রায়গঞ্জের নৌকা বিক্রেতাদের।
নদীর জল বাড়েনি তাই নৌকার চাহিদা না থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্যবাসায়ীরা। কিন্তু এর মাঝেও দু চারজন আবার আগে ভাগে বন্যার আশঙ্কায় নৌকা কিনে রাখছেন। তাদের বক্তব্য জল অল্প অল্প করে বাড়ছে। কিন্তু এর মাঝে হঠাৎ একনাগারে বৃষ্টি হলে জল অতিরিক্ত বাড়বে। তখন সময় পাওয়া যাবে না। তাই জলমগ্ন এলাকার সাধারন মানুষকে পারাপার করাতে নৌকা কিনতে আসছেন তারা।
নৌকা বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরও প্রচুর নৌকা বিক্রি হয়েছে। ছোট নৌকোর দাম রাখা হয়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা মতন। আর বড় নৌকোর দাম রাখা হয়েছে ১৫ হাজার টাকার আশেপাশে। গত বছর নৌকা বিক্রি করে ভাল লাভ হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। তবে এবারে সেই অনুযায়ী বিক্রি কম। এখন তারা বৃষ্টি চাইছেন। যাতে নদীর জল একটু হলেও বাড়ে। নৌকো বিক্রি হয়। তবে এবারে একটাই ভরসা যে ব্যবসায় একেবারে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে নেই। কারণ বড় নৌকোর বিক্রি তেমন একটা না-হলেও ছোট নৌকোর বিক্রি একটু হলেও রয়েছে। অবশ্যই সেটা মাছ ধরার নৌকো। প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক করুন, শেয়ার করুন। সঙ্গে নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ।
অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর