Story
ঘরে ঘরে নাড়ু তৈরি করা বাংলার সাবেকিয়ানা। উৎসবের মেজাজে যা বাজারকে আরো কিছুটা জ্বালানি দেয়। এখন সময়ের চাপে মা, দিদিমাদের হাতে নাড়ু তৈরির ছবিটা অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে। আর গৃহিণীদের সেই ফুরসতটুকুই বা কোথায়? তাই বলে, কি নাড়ুর স্বাদ ভুলে থাকা সম্ভব? তাই নাড়ু তৈরির হ্যাপা না করে সটান দোকানেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
বর্ধমানের বহু দোকানেই এখন দেদার বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটবন্দি নাড়ু। শুধু নারকেল নাড়ু নয়। সেখানেও রয়েছে বৈচিত্র্য। তিল, গুড়, মুড়কি এমনকি মুড়ির নাড়ুর বিক্রিও বেশ চোখে পড়ার মত। নাড়ুগুলিকে রাখা হয়েছে প্যাকেট বন্দি বা কৌটো বন্দি করে। দামও যে খুব বেশি এমনটা নয়। ফলে ক্রেতাদেরও নাড়ু কিনতে খুব একটা গায়ে লাগছে না।
ঘরে নাড়ু তৈরি না হওয়ার জন্য বাজারে প্যাকেটবন্দি নাড়ুর চাহিদা কিন্তু যথেষ্ট বেড়েছে। বিক্রেতারা নাড়ু বিক্রি করছেন ভালোরকম। ফলে নাড়ু কেনাটাই ক্রমশ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাতে আখেরে হাসি চওড়া হয়েছে দোকানিদের।
এখন বাজারে যে কোন জিনিস কিনতে গেলেই ছেঁকা লাগে। একে খরচ তার উপর পরিশ্রম। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। আর এই তিনে মিলে নাড়ু তৈরির ছবিটা যেন ক্রমশই উধাও হয়ে যাচ্ছে। এক সময় ঘর ঘর কা কাহানির নামই ছিল নাড়ু। আজ কিছু ঘরের কাহিনী হয়ে রয়েছে নাড়ু। হাতের কাছে মনের মত নাড়ু পেলে ক্রেতাদের হাসিমুখ যে চওড়া হবেই, তা নিয়ে কোন দ্বিমত থাকতে পারেনা। এখন এক প্যাকেট নাড়ু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০ টাকায়। আর নাড়ু মিষ্টিপ্রেমীদের পাশাপাশি পুজোর জন্য প্রসাদ হিসেবে দেওয়াটাও দস্তুর। তাই বলাই যায়, হাতের কাছে প্যাকেটবন্দি নাড়ু পেয়ে খুশি সময়ের চাপে ব্যাস্ত সুখি গৃহকোণ।
পত্রলেখা বসু চন্দ্র
পূর্ব বর্ধমান