Story
অতিবৃষ্টির কারণে এমনিতেই অনেক ক্ষতি হয়েছে ফসলের। লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে কৃষকবন্ধুদের। ফলে খোলা জায়গায় সব্জি চাষে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কিন্তু একদিকে যখন কৃষকবন্ধুরা ক্ষতির অঙ্ক গুনছেন, তখন অন্যদিকে অসময়ে পলি হাউজে পালং শাক চাষ করে ভালো লাভ করছেন বর্ধমান জেলার কালনা ব্লকের কৃষক কাবিল শেখ। বাজারে পালং এর দাম পাচ্ছেন কেজি প্রতি ৪০ টাকা। কিন্তু কিভাবে করছেন এই চাষ? জানালেন কৃষক নিজেই।
পলি হাউজে চাষ করার জন্য পালং শাকের ফলন ভালো হয়েছে। এখন যেমন বাজারে নিয়ে গিয়ে পালং শাক বিক্রি করা যাচ্ছে তেমনি কেউ কেউ কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার দিয়ে কিনে নিচ্ছেন পালং শাক। এই পদ্ধতিতে চাষ করে কৃষক যে নিজের জমিতে সুন্দর ভাবে ফসল ফলাতে পারছেন এই কথা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিলেন তিনি।
কাবিল শাক যে পদ্ধতিতে চাষ করছেন তাতে সাফল্য যে আসবেই, সেই বিষয়ে জানালেন কালনা মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ। অন্যান্য কৃষকদেরও পলি হাউজে চাষ করতে উৎসাহ দিচ্ছেন তিনি।
কাবিল শেখের সাফল্য অন্যান্য কৃষকদেরও যথেষ্ট অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁরাও এইভাবে অসময়ে চাষ করে দেখতে চাইছেন লাভের মুখ।
এই পালংশাক চাষ করতে ভার্মি কম্পোস্ট কেঁচো সার জৈব সার এগুলি ব্যবহার করতে পারলে সবথেকে ভালো হয়। এতে যেমন ভালো ফলন পাওয়া যায়, তেমনি রোগ পোকার আক্রমণও অনেকটা কম হয়। খেতেও হয় সুস্বাদু। বিজ্ঞানসম্মতভাবে পলি হাউজে চাষ করে যেভাবে লাভ করছেন কৃষক কাবিল শেখ, তাতে আগামীতে তিনি পরিকল্পনা করছেন পিঁয়াজের বীজ পাতার। আগে তিনি এখানে চাষ করেছেন ক্যাপসিকাম, ধনে পাতা। এরপর পালং শাক লাভের মুখ দেখানোয় এখন এই পদ্ধতিতে চাষের ব্যপারে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী।
মানিক দাস
বর্ধমান