Agriculture news
গরু প্রতিপালন করে আয়ের সুলুক সন্ধান পান বাঙালি। কিন্তু তাই বলে মহিষ! মহিষ প্রতিপালনে সাধারণের মধ্যে তেমন আগ্রহ না-থাকলেও হাতেগোনা কিছু বাঙালি ধীরে ধীরে মহিষ প্রতিপালনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তেমনই এক মহিষ প্রতিপালক সেক সাহাদত আলি। তাঁরা আয়ের মুখ দেখছেন এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছেন। জানতে হলে প্রতিবেদনটি দেখুন একেবারে শেষ পর্যন্ত।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের কফলা গ্রামের মহিষ প্রতিপালক সেক সাহাদত আলি। বছর পঞ্চান্নর সেক সাহাদত আলির প্রায় ১০ বিঘে জমি রয়েছে। সেখানে তিনি মাছ, ধান, এবং বিভিন্ন ফলের গাছ চাষ করেন। সেখানেই বেশ কিছুটা জমিতে রয়েছে সেক সাহাদত আলির মহিষ খাটাল। বর্তমানে তাঁর খাটালে মহিষের বাচ্চা সহ মোট ২০-টি মহিষ রয়েছে। প্রতিপালন করার জন্য বিহার থেকে এসেছেন ২ জন কর্মী। তাঁরাই দেখাশোনা করছেন ভালোরকম। মূলত উন্নত মহিষের বাচ্চা তিনি নিয়ে আসেন উত্তরপ্রদেশের দিলদরনগর থেকে। ভালোভাবে প্রতিপালন করার জন্য দিনে তিনবার মহিষের বাচ্চাদের খাবারের জোগান দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে তার মহিষ থেকে উৎপাদিত দুধ কোলাঘাটের বেশকিছু মিষ্টির দোকানে প্রতিদিন সরবারহ করে থাকেন। এখন তিনি মহিষের দুধ বিক্রি করেন ৬০ টাকা প্রতি লিটারে। বর্তমানে তাঁর কাছে রয়েছে অনেকগুলি মহিষের বাচ্চা এবং কয়েকটি গরু। বর্তমানে তিনি দুধ বাজারজাত করছেন প্রতিদিন ১১০-১২০ লিটার। আগামী কয়েকমাসে দুধের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানান মহিষ প্রতিপালক সাহাদাত আলি।
তবে তাঁর লক্ষ্যমাত্রা হল গড়ে ৫০০-৬০০ লিটার দুধ বাজারজাত করার। তার জন্য প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা। তার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে মহিষ প্রতিপালনের যাবতীয় খরচ বাদে তিনি লাভ করেন ১৫-২০ শতাংশ। সত্যি বলতে কী, মহিষ প্রতিপালন করে যেভাবে তিনি আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন তা দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় মানুষজন। সেক সাহাদাত আলি তাই অন্যদেরও মহিষ প্রতিপালনে ভালোরকম উৎসাহ দিচ্ছেন।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর