Daily

দেশের আর্থিক গতিতে জোরালো বাধা। শিল্পক্ষেত্রগুলির বেহাল অবস্থা। বেকারত্বের চোখরাঙানি। সব মিলিয়ে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হোঁচট খেয়েছে করোনা আবহে। তার মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করেছে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য। বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের কটাক্ষ, প্রতিবাদ সয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও দ্রুত ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই ছিল মোদী ক্যাবিনেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ। আর এই সবের মধ্যেই হচ্ছে আগামী বছরের বাজেট পেশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট পেশ আগামী ২৫ বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পথকে অনেকটাই মসৃণ করবে বলে দাবি করছেন মোদী ক্যাবিনেট। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চলতি বছরের বাজেট।
আগামী পাঁচ বছরে দেশ জুড়ে কর্মসংস্থান হবে ৬০ লক্ষ
চলতি অর্থবর্ষে ৯.২ শতাংশে পৌঁছতে পারে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা রাখতে প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের ঘোষিত বাজেট ২ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
কোর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা এবার পোস্ট অফিস থেকেই। নেট ব্যাঙ্কিং, এটিএমের মত যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যাবে দেড় লক্ষ পোস্ট অফিস থেকে।
কমিয়ে আনা হচ্ছে কর্পোরেট কর। ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হল ১৫ শতাংশে।
উন্নতমানের গবেষণা সহ কৃষিক্ষেত্রের ভিত মজবুত করার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ক্রিপ্টোকারেন্সির বাড়বাড়ন্তে এবার ভারতেই চালু হবে ডিজিটাল মুদ্রা। যা থাকবে আরবিআই এর অধীনেই।
দেশ জুড়ে অনলাইন শিক্ষায় জোর দিতে চালু হবে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়।
দাম কমছে মোবাইল ফোন, চার্জার, চামড়াজাত পণ্য, পোশাক, হিরের গয়নায়।
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এবার ১০ লক্ষ ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়ার সুবিধা দেবে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই এই বাজেটকে পেগাসাস স্পিন বাজেট বলে কটাক্ষ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের জন্য যে এই বাজেট নয় সেটা তিনি ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এই বাজেট নরমে গরমে বিরোধী শিবিরের কটাক্ষকে আরও জোরদার করতে পারে। তবে যত যাই হোক। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির চাকা আদৌ চলতি অর্থবর্ষের বাজেট আরও দ্রুত ঘোরাতে পারে কিনা সেদিকেই লক্ষ্য রাখবে দেশবাসী।
ব্যুরো রিপোর্ট