Trending
বিএসএনএল নিয়ে মানুষের উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। জিও, এয়ারটেল যেভাবে নিজেদের প্রফিট আরও বাড়ানোর বিষয়ে মনযোগী হয়েছে, তারপর বিএসএনএল এখন ত্রাতা হিসেবে সাধারণ মানুষের দুয়ারে। তাই বিএসএনএলকে বাদ দিয়ে এখন কোন কথা নয়। টেলিকম সেক্টরে বিএসএনএল সবথেকে চর্চায়। দেখতেই তো পাচ্ছেন, কিভাবে জিও, এয়ারটেলের হাওয়া ধীরে ধীরে কমে আসছে। তার কারণ কি? মানুষ চাইছেন এই জিও, এয়ারটেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে আর বিএসএনএলে পোর্ট করিয়ে নিতে। কিন্তু বিএসএনএলে পোর্ট করবেন কিভাবে? জারি করা হয়েছে নতুন নিয়ম। এবার সেদিকেই নজর দেওয়া যাক।
অনেকে আছেন যারা বিএসএনএলের নতুন সিম নিচ্ছেন আর অনেকে আছেন যারা বিএসএনএলের সিম পোর্ট করাচ্ছেন। আপনাদের বলি, পোর্ট করানোর সংখ্যাটা কিন্তু অনেক বেশি। তাই কিভাবে পোর্ট করাবেন, সেই নিয়ে জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা। খেয়াল রাখবেন যে, বিএসএনএলের সিমে পোর্ট করানোর জন্য যে নিয়ম এখন নতুন রয়েছে, সেই নিয়মেই আপনাকে পোর্ট করাতে হবে। এমএনপি বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি অনুযায়ী কী নিয়ম রয়েছে সেটা এবার বলা যাক। টেলিকম রেগুলেটরি অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আপনি যখন নতুন কোন টেলিকম অপারেটরে চেঞ্জ করতে চান বা পোর্ট করতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে এই চেঞ্জের জন্য সাত দিন লক ইন পিরিয়ড থাকবে। মানে আবেদন করার সাতদিন পরেই পোর্টিং হওয়া সম্ভব। পোর্টিং করার সময় যদি আপনার কাছে ব্যালেন্স পড়ে থাকে তাহলে সেটা পনেরো থেকে তিরিশ দিনের মধ্যে আপনার ব্যালেন্সের সঙ্গে অ্যাড হয়ে যাবে।
এবার বলি কিভাবে পোর্ট করবেন। প্রথমে আপনাকে একটি এসএমএস পাঠাতে হবে 1900 নম্বরে। এসএমএসে আপনাকে বড় হাতে মানে ক্যাপিটালে লিখতে হবে PORT। তারপর স্পেস দিয়ে আপনার টেন ডিজিটের মোবাইল নম্বরটি লিখে দেবেন। যদি আপনি জম্মু কাশ্মীর থেকে পোর্ট করাতে চান, তাহলে সবার আগে ঐ 1900 নম্বরে ফোন করতে হবে। খেয়াল রাখবেন, এসএমএস পাঠালে কিন্তু হবে না। যাই হোক, এসএমএস পাঠানোর পর দেখবেন আপনার কাছে একটা কোড আসবে। কোডটা যখন আপনি পাবেন তখন আপনাকে প্রথম যেটা করতে হবে সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে। বা কোন দোকানে যেতে হবে যে দোকান বিএসএনএলের ৫জি সিম পোর্ট করাতে পারবে। খেয়াল রাখবেন, পোর্ট করানোর জন্য কিন্তু ঐ কোডটা দরকার। তারপর আপনাকে যেতে হবে বিএসএনএলের সার্ভিস সেন্টারে। সেখানে গিয়ে আপনাকে নিতে হবে নতুন সিম। কেওয়াইসির প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্য লাগবে আধার কার্ড, ছবি, আর বায়োমেট্রিক তথ্য। এগুলো জমা দেওয়া হয়ে গেলে আপনাকে সিমের দাম মিটিয়ে দিতে হবে। এরপর যখন সমস্ত প্রক্রিয়া হয়ে যাবে তারপর আপনার ফোনে চালু হয়ে যাবে বিএসএনএলের কানেকশন। বিএসএনএলের কানেকশন পাবার পর আপনাকে ওয়েট করতে হবে ৪ দিন মত।
এবার বলি বিএসএনএলের সিম পোর্ট করলে কি কি সুবিধা রয়েছে আর কি কি অসুবিধা রয়েছে। বিএসএনএলের সিম নিলে সবার আগে যে সুবিধে হবে, সেটা হল পকেট ফ্রেন্ডলি। ভোডাফোন, জিও বা এয়ারটেলের থেকে অনেকটাই কম দাম পড়বে বিএসএনএলের রিচার্জে। সেটা আপনি ২৮ দিনের করতে পারেন, ৩০ দিনের করতে পারেন, ৮৪ দিনের করতে পারেন আবার ৩৬৫ দিনের করতে পারেন। যে ভ্যালিডিটির রিচার্জ করান না কেন, সেটাই আপনি পেয়ে যাবেন কম দামে। পাবেন আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এর সুবিধে, দিনে ১ জিবি, ১.৫ জিবি অথবা ২ জিবি ডেটা পেয়ে যাবেন।
আজকের প্রতিবেদন ইউজফুল মনে হলে শেয়ার করুন সবার সঙ্গে। দেখতে থাকুন আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ