Trending
সবার ঘুম ওড়াবে টাটা। এবার বিএসএনএল হবে ডেটার বাদশা। খবর শুনে ঘাম ছুটছে জিও-এয়ারটেলের। এত কম দামে নিজস্ব ডেটা প্যাকেজ লঞ্চ করতে চলেছে বিএসএনএল যে, বাকিদের এখন গলদঘর্ম অবস্থা। ১৫ হাজার কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্টে বিএসএনএল-এর হাত ধরেছে টাটা। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে বিএসএনএল-কে নেক্সট জিও অফ ইন্ডিয়া হিসেবে গড়ে তোলে টাটা।
২৪৯ টাকায় লাগাতার ৪৫ দিন! আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এও কী সম্ভব! বিএসএনএল বলছে আলবাত সম্ভব। তাই জিও, এয়ারটেল ভোডাফোনের মতো জায়েন্ট সংস্থা ২৮ দিনে যে প্ল্যান দিচ্ছে তাঁর চেয়েও কম দামে রিচার্জ প্ল্যান সেট করেছে বিএসএনএল। (চারদিকে শুধু উয়াও এক্সপ্রেশন)। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নাকি হাজার হাজার জিও বা এয়ারটেল গ্রাহক, বিএসএনএল-এর সার্ভিস নিতে শুরু করেছে।
বিশেষ কিছু লাভ হচ্ছে না দেখে যখন জিও-এয়ারটেল বা ভোডাফোন নিজেদের ট্যারিফের অঙ্ক বাড়াতে শুরু করল- ঠিক তখনই কপাল খুলল বিএসএনএল-এর। যদিও এসব মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে সামিল না হয়েই। আর সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে মরিয়া চেষ্টা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিকম সংস্থার। গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করাই এখন তাদের মূল লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যে অটুট থেকেই ১০ হাজার ৪ জি টাওয়ার ইতিমধ্যেই ইন্সটল করে দিয়েছে তারা। যেগুলোকে ভবিষ্যতে বিনা বেগেই ৫জি-তে আপগ্রেড করে ফেলা যাবে। অন্যদিকে যে সমস্ত অঞ্চলে তাদের ৩জি সার্ভিস রয়েছে, সেখানে আরও ভালোভাবে ইন্টারনেট স্পিড দিতেও আদা-জল খেয়ে লেগে পড়েছে তারা।
কয়েকমাস আগেও কেউ কি ভেবেছিল, যে এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বিএসএনএল? সত্যি বলতে জিও, এয়ারটেল বা ভিআই-এর যে দাপট বা যে দৌরাত্ম্য রয়েছে মার্কেটে- সেই দৌড়ে কোনভাবেই সামিল হতে পারেনি বিএসএনএল। ডেটা ব্যবহার করার প্রবণতা যত বেড়েছে মানুষের মধ্যে ততই জনপ্রিয়তা পেয়েছে জিও-র মতো সংস্থা। কিন্তু বিএসএনএল এর টার্গেট বরাবরই এক। যেখানে কেউ পৌঁছতে পারবে না, সেখানে পৌঁছবে বিএসএনএল। তাই দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিএসএনএল-এর একটা বড়ো সংখ্যক গ্রাহক এখনও রয়েছে। কৃষক, দিনমজুর বা অনান্য নিম্ন আয়ের মানুষেরা এখনও স্মার্ট ফোনের সমীকরণ জানেন না। তাই তাদের অন্ধের যষ্টি ঐ কি-প্যাড ফোন। যেখানে দুর্দান্ত সার্ভিস দেয় বিএসএনএল ৩জি।
তবে এখানেই থেমে থাকতে নারাজ বিএসএনএল। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৪জি এক্সপানশন প্রয়োজন। আর সেই লক্ষ্যেই এবার টাটার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল সংস্থা। টাটা গ্রুপ কী করবে? বেসিক্যালি তাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টাইজের মাধ্যমে বিএসএনএল-কে সাপোর্ট করবে। কাজেই কে বলতে পারে, এবার হয়তো টাটার হাত ধরেই নেক্সট জিও হিসেবে উঠে আসবে বিএসএনএল-এর নাম? তবে জানেন কি? বাকিদেরকে জোর টেক্কা দিতে এবার ৮৪ দিনের রিচার্জ প্ল্যানিং-এ বড়ো বদল এনেছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল?
সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের ৮৪ দিনের প্ল্যানটির নাম এসটিভি৫৯৯। এতে ৮৪ দিন ভ্যালিডিটির পাশাপাশি আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং ডেটা পাওয়া যাবে। মুম্বই এবং দিল্লি ছাড়া সমস্ত টেলিকম সার্কেলে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। এতে দৈনিক ৩ জিবি ডেটা, প্রতিদিন ১০০টি এসএমএস এবং আনলিমিটেড ভয়েস কলিং মিলবে। মোট ২৫২ জিবি ডেটা পাওয়া যাবে এই প্ল্যানে। যেখানে জিও বা এয়ারটেলের মত সংস্থা ঐ একই সার্ভিস দিতে চাইছে ১১৯৯ টাকা।
ইন্ডিয়াটিভির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ‘বিএসএনএল কি ঘর ওয়াপসি’ এই হ্যাশট্যাগে ৪৫ হাজারের বেশি পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা প্রমাণ করে বিএসএনএল নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা কত। বিএসএনএল রিচার্জের দাম অপরিবর্তিত রাখায় অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস নিয়েছেন। প্রিপেইড প্ল্যানের ক্ষেত্রে অনেক প্ল্যানেরই দাম কম। আশা করা হচ্ছে, আগামীদিনে নেটওয়ার্কের সমস্যাও দ্রুত মিটিয়ে ফেলবে বিএসএনএল।
সঙ্গে থাকুন দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।