Trending
এবার বোধ হয় আপনা টাইম চলে এসেছে বিএসএনএল-এর। জিও-এয়ারটেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের জমি শক্ত করতে মরিয়া সংস্থা। চলছে জোরদার তোড়জোড়। আর সে প্রসঙ্গেই জানা গেল যে এবার নাকি ১০ হাজার নতুন ৪জি টাওয়ার বসাল বিএসএনএল। এবং এই সংখ্যাটা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে চলেছে। তবে বিএসএনএল গ্রাহকদের জন্য আরও একটি দারুণ সুখবর রয়েছে। ভিডিওর শেষে আপনাদের সঙ্গে শেয়র করতে চলেছি দারুণ সুখবরটি।
জিও- এয়ারটেল-ভোডাফোনের মূল্যবৃদ্ধিতে শাপে বর হয়েছে বিএসএনএল। দেশজুড়ে তোলপাড় এখন একটাই হ্যাশট্যাগ। পোর্ট টু বিএসএনএল। দেশের যে প্রান্তে অন্য কেউ পৌঁছতে পারেনি, সেখানে পৌঁছে গিয়েছে বিএসএনএল। শুধু তাই নয়। একেবারে মেড ইন ইন্ডিয়া প্রযুক্তিতে তৈরি সেইসমস্ত ৪জি টাওয়ারের মাধ্যমে এবার ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় ভালোরকম তোলপাড় তৈরি করে ফেলেছে সংস্থা। আর সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় কী জানেন? এই সমস্ত টাওয়ার একেবারে ৫জি রেডি। মানে, এই ৪ জি টাওয়ারগুলোকে ৫ জি তে আপগ্রেড করার জন্য আর আলাদা করে টাওয়ার বসাতে হবে না। এগুলোকেই ডিরেক্টলি ৫জি-তে আপগ্রেড করে ফেলা যাবে। সেটাও একেবারে নামমাত্র সময়ের মধ্যেই।
দেশের প্রায় ২৫ হাজার গ্রামীণ অঞ্চলকে এই প্রজেক্টের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে বিএসএনএল-এর পরিষেবা অনেক বেশি মসৃণ করে তুলতে আরও বেশি তৎপর হয়েছে সংস্থা। কীরকম? যেসমস্ত অঞ্চলে বিএসএনএল-এর পুরনো টাওয়ার রয়েছে, সেখানে বেশ কিছু ইক্যুপমেন্ট বদল করা হচ্ছে। আর সেখানে বসছে মেড ইন ইন্ডিয়ার প্রযুক্তি। তবে একইসঙ্গে ত্রাতার মতো টাটার ভুমিকাটাও পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায় কি? জাস্ট একটা সিদ্ধান্ত। আর সেই একটা সিদ্ধান্তেই খাদের কিনারা থেকে বিএসএনএল-কে ফিরিয়ে আনল টাটা। কর্মী ছাঁটাই, তাদের সময়মত বেতন না দেওয়া, লাভের আশায় ধুঁকতে থাকা এখন টাটার ম্যাজিকেই সকলের মুখে মুখে। জিও-এয়ারটেলকে সাইড করতে এখন রীতিমত স্লোগানের মতো চলছে পোর্ট টু বিএসএনএল ক্যাম্পেন।
১৫ হাজার কোটি টাকার ডিল আর টাটার হাত-খোলনলচে বদলে দিল বিএসএনএল-এর। মূলত ইনফস্ট্রাকচারাল এবং স্ট্র্যাটেজিক ডেভেলপমেন্টে কাজ করবে টাটা। তবে, সত্যি বলতে কি, মানুষের আশা-ভরসা জিতে নিতে আজও কিন্তু টাটার নামটাই যথেষ্ট। যেটা বিএসএনএল-এর কাছে আছে। না শেয়ার মার্কেটে কোন স্টেক আছে, না অন্য কোন উপায়ে মার্কেট থেকে টাকা পায় বিএসএনএল। মানুষকে ন্যুনতম মূল্যে ভালো পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই মূলত পথ চলা শুরু করে বিএসএনএল। আর এখন যখন বাকী টেলিকম সংস্থাগুলো নিজেদের কোষাগার ফুলিয়ে ফাপিয়ে রাখতে ট্যারিফের অঙ্ক বাড়িয়ে চলেছে, তখনও নামমাত্র খরচে পরিষেবা দিয়ে চলেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই টেলিকম সংস্থা। অনেকটা ঐ ফ্রেন্ডস ইন নিড, ইজ আ ফ্রেন্ড ইন্ডিড টাইপ।
তবে, একটাই বিষয়। পরিষেবা ভালো হতে হবে। ৪জি স্পিডও যদি প্রোভাইড করা হয়, সেটা যেন সত্যিকারের ৪জি-ই থাকে। কারণ বিএসএনএল-এর নেটওয়ার্ক প্রবলেম নিয়ে বারংবার অভিযোগ এসেছে। এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা সত্য প্রমাণিত হয়েছেও। তাই এই বিষয়টা খেয়াল রেখে মার্কেটে লড়তে নামলেই রাজার রাজা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হবে বিএসএনএল-এর। এমনটাই মত গ্রাহকদের একাংশের। তবে আরও একটি সুখবর রয়েছে। খুব শীঘ্রই নাকি তাদের ৫জি পরিষেবা চালু করতে চলেছে বিএসএনএল। ভাবতে পারছেন? সেটা একবার বাস্তবায়িত হয়ে গেলে জিও-এয়ারটেল বা ভোডাফোনের জন্য তা কতটা টাফ ফাইট হতে চলেছে? কিন্তু আসল প্রশ্ন হচ্ছে, কবে নিজস্ব ৫জি পরিষেবা চালু করতে চলেছে বিএসএনএল।
জিও, এয়ারটেল ৫জি পরিষেবা শুরু করে দিলেও বিএসএনএল এখনও সেই দৌড়ে ব্যর্থ। তবে সেই পরিষেবাও আগামীদিনে চালু করতে পারে সংস্থা। টেলকো’র তরফে দাবি, ৪জি পরিষেবা পুরোদমে চালু হলে, তারপর ৫জি নিয়ে কাজ শুরু করবে বিএসএনএল।
সঙ্গে থাকুন দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।