Daily
সাতমাস বাদে শেয়ার বাজারের রেকর্ড পতনে এক লহমায় লগ্নিকারীরা হারালেন ৮.২১ লক্ষ কোটি টাকা। গত ১২ এপ্রিলের পর সোমবারই শেয়ার বাজারে রেকর্ড ধস নামে। যদিও বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি বাজারদর তিন টাকা হয় সেখানে এক টাকার পতন স্বাভাবিক। সেই অর্থে দেখতে গেলে মুম্বইয়ের শেয়ার বাজারের গতকালের পতন মোটেও অস্বাভাবিক ছিল না।
সোমবার বাজার খুলতেই শেয়ার বাজারে ব্যপক ধস নামে। একইসঙ্গে পতন দেখা যায় বিএসই সেনসেক্স এবং নিফটিতেও। বাজার বিশেষজ্ঞরা গতকালের পতনের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন।
মোদী সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করায় সংস্কারের গতি অনেকটাই ধাক্কা খাবে বলে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলি মনে করেছে। তাই তারা তাদের হাতের শেয়ারগুলি দ্রুত ছেড়ে দেওয়ায় বাজারে পতন ছিল বেশ চোখে পড়ার মতন।
বাজার চড়া থাকায় নতুন লগ্নিকারীরা তাদের হাতে থাকা শেয়ারগুলিও চটজলদি বেচে দিয়ে নিজেদের ঘরে মুনাফা যেমন তুলতে চেয়েছে, তেমনি রিলায়েন্স গোষ্ঠী অ্যারামকোর সঙ্গে চুক্তি থেকে সরে আসায় রিলায়েন্সের শেয়ারের পতন ছিল খুবই স্বাভাবিক।
ভারতীয় বাজারে বিশেষ করে খুচরো এবং পাইকারি বাজারের মূল্যসূচক ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তার একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে গতকাল বাজার খুলতেই।
সর্বোপরি রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, জার্মানি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার গ্রাফ আবারো ঊর্ধ্বমুখী হওয়াতে ইউরোপীয় বহুজাতিক কোম্পানিগুলির তাড়াহুড়ো ছিল ভারতীয় শেয়ার বাজারে সেনসেক্স এবং নিফটির পতনের অন্যতম কারণ।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে ভারতীয় শেয়ার বাজার যেভাবে লাগাতার সাত মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী করে রেখেছিল বাজারকে তাতেই শঙ্কার মেঘ দেখছিলেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, নতুন আইপিও বাজারে নিয়ে এসে পেটিএমের শেয়ারের দাম যেভাবে কমেছে, তা যথেষ্টই চিন্তার মধ্যে রেখেছে ভারতীয় স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলিকে।
ব্যুরো রিপোর্ট