Trending

চিরাচরিত পদ্ধতিতে প্রচলিত সব্জি চাষ করে লাভের অঙ্ক যাই থাকুক না কেন। অপ্রচলিত সব্জি চাষে লাভের হাসি অনেকটাই চওড়া হয় কৃষকদের। তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকবন্ধুদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে অপ্রচলিত সব্জি চাষে। বিশেষ করে ব্রকোলি, লাল বাঁধাকপি, স্কোয়াশ এবং লেটুশ পাতা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক প্রগতিশীল চাষিভাইরা। ব্রকোলির মত অপ্রচলিত সব্জি চাষের সেই ছবিটাই ধরা পড়ল বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায়।
পূর্ব মেদিনীপুরের বৃন্দাবনচক গ্রামের কৃষক প্রমথ মাজি। যিনি ২০১৩ সাল থেকে চাষ করছেন এই ব্রকোলির। সাধারণ ফুলকপি, আলু, পেঁয়াজের পাশাপাশি এই বছর তিনি ৬ হাজার ব্রকোলির চাষ করেছেন। ফলনও উঠতে শুরু করে দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলে এই ব্রকোলির বাজার তেমন একটা না থাকলেও জেলার বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে যাচ্ছে ব্রকোলি। তাই ব্রকোলির মত সব্জি চাষে অনেকটাই আশাবাদী কৃষক প্রমথ মাজি নিজেই।
ফুলকপি চাষের সঙ্গে ব্রকোলি চাষের তেমন একটা ফারাক নেই। শুধু সার বা কীটনাশকের দিকটা মাথায় রেখে ব্রকোলির চাষ করতে হয়। একদিকে সময় কম লাগে। অন্যদিকে লাভের মার্জিন থাকে ভালোই। বর্তমানে ব্রকোলি প্রতি পিস ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঠা প্রতি লাভের অঙ্ক থাকে প্রায় ৫ হাজার। অপ্রচলিত সব্জি চাষে লাভ বেশি থাকার কারণে দুই মেদিনীপুরের বেশ কিছু প্রগতিশীল কৃষক এখন তাঁদের নিজেদের চেষ্টায় চাষ করছেন ব্রকোলির। দিনের শেষে ফলন ভালো হওয়ায় নিশ্চিত হচ্ছে তাঁদের আয়।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর