Daily

অ্যালঝাইমার। বয়স যখন ঠিক ৬০ এর কোঠায়, ঠিক তখনই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাজনিত একটি রোগ হলো অ্যালঝাইমার। আক্রান্ত মানুষ ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলেন তার স্মৃতিশক্তি, চিন্তা ক্ষমতা, যুক্তি, স্মরণ এবং আচরণ। নাহ! সত্যিই এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। নেই কোনো ওষুধও। শুধুমাত্র উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ দিয়ে পরিচালনা করা হয় আক্রান্তকে। কি? পরিস্থিতিটা ভাবলেই কেমন দমবন্ধ লাগছে, তাইতো?
পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের এই দেশেই এই অ্যালঝাইমার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ। আর গোটা বিশ্বে সংখ্যাটা ৫ কোটি। এখানেই শেষ নয়। অ্যালঝাইমার আক্রান্তদের ৮০ লক্ষ রোগী থাকেন পশ্চিমবঙ্গে, যার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতাতেই থাকেন ৪১ হাজার জন। যদিও এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই, তবুও অ্যালঝাইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সায় নোট্রপিক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। নোট্রপিক হলো এমন এক উদ্দীপক পদার্থ যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। যার একটা ইতিবাচক প্রভাব পরে স্মৃতিশক্তির উপর।
কিছু ধরণের মাশরুমে যেমন ধরুন, লায়নস মিন মাশরুম, চাগা মাশরুম এবং কর্ডিসেপস মাশরুমে প্রাকৃতিকভাবে এই নোট্রপিক পাওয়া যায়। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এগুলি আক্রান্তের ইমিউন সিস্টেমকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করতে এবং অন্ত্রের ভারসাম্য উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এদের নোট্রপিক সুবিধাগুলি অ্যালঝাইমার রোগের লক্ষণগুলি পরিচালনায় সহায়তা করে। আর ঠিক জন্যেই অ্যালঝাইমার রোগের বিরুদ্ধে ব্রহ্মাস্ত্র হলো এই নোট্রপিক মাশরুম।
ব্যুরো রিপোর্ট