Trending
মোদীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য
কড়ায় গন্ডায় হিসেব বুঝে নিচ্ছে ভারত
লাক্ষাদ্বীপ-মালদ্বীপ বিতর্ক এবার কূটনৈতিক লড়াইয়ে গড়াল
এক মোদী শ পে ভারী। মোদীর ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কাছে শেষমেষ মাথা নোয়াতেই হল। চীনের চর্চা আর ভারতের নিন্দা যে কোনভাবেই বরদাস্ত করবে না ভারত, সেটা বোধ হয় এবার ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছে মালদ্বীপ। আর তাই এত জলঘোলা। মন্ত্রীপরিষদ থেকে বরখাস্ত করা হল মালদ্বীপের বেশ কয়েকজন পদস্থ মন্ত্রীকে। প্রশ্ন হল, কোন পথে ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ক?
রণে-বনে- জলে-পর্যটনে, মালদ্বীপ যখনই বিপদে পড়েছে, ভারতকে পাশে পেয়েছে। যে দেশটা মালদ্বীপের ইকোনমিক ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে এতটা গুরুত্বপূর্ণ, যে দেশের ট্যুরিজম ভারতের ওপর নির্ভরশীল- সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করা হবে আর ভারত সেটা চুপ করে সহ্য করবে, সেটা তো হতে পারে না। ভারত যদি একবার পর্যটনে রাশ টানে তাহলে তো পালাবার পথ পাবে না মালদ্বীপ। আপনাদের সঙ্গে ছোট্ট একটা স্ট্যাটিস্টিক্স শেয়ার করা জরুরী।
মালদ্বীপ ট্যুরিজম মিনিস্ট্রি জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে ১৭,৫৭,৯৩৯ জন পর্যটক এসেছিল মালদ্বীপে। যার মধ্যে আবার ২,০৯,১৪৬ জনই ভারতীয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অপমান দেখে যদি ভারতীয় ট্যুরিস্টরা একবার বয়কট মালদ্বীপের হিড়িক তোলে আর সেটা যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রেন্ড হয়ে যায়- তাহলে কিন্তু প্রভু চিনও বাঁচাতে পারবে না মালদ্বীপকে। যদিও সে ট্রেন্ড যে আসতে চলেছে, সেটা বোধ হয় আন্দাজ করাই যায়। প্রসঙ্গত, চিন বন্ধু হিসেবে যে দেশের পাশেই দাঁড়িয়েছে, সেই দেশকেই কিন্তু ফোঁপরা করে দিয়েছে। যার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ পাকিস্তান। যে দেশটার অস্তিত্ব আছে কি নেই- সেটা গোটা দুনিয়ার কাউকেই বিশেষ ভাবায় না।
মালদ্বীপের হোটেল মালিকদের সংগঠন জানাচ্ছে ইতিমধ্যেই ৮ হাজার বুকিং ক্যান্সেল করেছেন ভারতীয় পর্যটকরা। তারমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ প্রমোশনের ছবি দেখে সলমন খান থেকে রণদীপ হুডা- বহু বলিউড আইকনরা লাক্ষাদ্বীপ পর্যটনকেই প্রোমোট করছেন। এ কথা কিন্তু সত্যি যে মালদ্বীপের থেকে অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে লাক্ষাদ্বীপে পর্যটনের। শুধুমাত্র প্রচারের অভাবে তা এতদিন সামনে আসেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই মোক্ষম চালটাও এবার চেলে দিয়েছেন।
সুতরাং, দেশের মানুষ নিজের দেশের ট্যুরিজমকে শক্তিশালী করবে নাকি বিদেশ ভ্রমণের কথা ভাববে- সেটা তো সময়ই বলবে। তবে, নির্বাচনে জিতে যেভাবে চীনের ন্যাওটা হয়ে উঠেছে মালদ্বীপ তাতে, মালদ্বীপের মন্ত্রীদের মোদীকে এই কুরুচিকর মন্তব্য করানোতে চীনের মদত আছে কি না- সে সন্দেহ কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
লাক্ষাদ্বীপ-মালদ্বীপ বিতর্ক এখন কুটনৈতিক মহলের হটটপিক। তবে, ভারত বিরোধিতা করলে যে বিশেষ লাভের লাভ কিছু হবে না, সেটা বোধ হয় ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে মালদ্বীপের কাছে। আপাতত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবমাননাকর মন্তব্য করার জল কত দূর গড়ায়- এখন সেটাই দেখার। দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।