কম হয়েছে ফলন। মন্দা নেমেছে চায়ের বাজারে। তার উপর রয়েছে পোকা মাকড়ের উপদ্রব। এই সবের জেরে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত চায়ের বাগানগুলি। তবু চা শ্রমিকদের জন্য স্বস্তির খবর। পুজোর মুখে তাঁরা পেতে চলেছেন বোনাস। পুজোর এই কয়েকটা দিনের জন্য আবারো চওড়া হতে চলেছে তাঁদের হাসি।

জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলায় ক্ষুদ্র চা বাগানের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার। প্রত্যক্ষভাবে এই বাগানের সঙ্গে যুক্ত আছেন দেড় লক্ষাধিক শ্রমিক। চা ব্যবসার ছন্দ কাটলেও এরই মধ্যে শ্রমিকদের বোনাস দেওয়ার ব্যপারে কার্যত সীলমোহর দিল জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চাষি সমিতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।

গত বছরের থেকে বোনাসের অঙ্ক হয়ত একটু কমেছে। কিন্তু উৎসবের মুখে একেবারে শূন্য হাতে ফেরেননি শ্রমিকরা। তাই সাড়ে তিন ঘণ্টার যে দীর্ঘ বৈঠক হল, তাতে জানতে পারা গিয়েছে আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রত্যেক চা শ্রমিকের হাতে উঠে আসবে পুজোর বোনাস।

অতিমারির প্রকোপ গেল বছরেও ছিল। এই বছরেও আছে। যদিও চায়ের বাজার গত বছরের থেকে এই বছর অনেকটাই কম। সেপ্টেম্বরে ফলন কমেছে প্রায় ৪২%। যা সরাসরি আঘাত আনে ক্ষুদ্র চাষিদের উপর। তবু এর মধ্যেও যেভাবে বোনাসের অঙ্ক চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য আশা ভরসার দরজা খুলে দিল তাতে যথেষ্ট উপকৃত হবেন তাঁরা। আগামী বছর কী হতে চলেছে চা শিল্পের ভবিষ্যৎ? অনিশ্চয়তার আগাম সতর্কবার্তা মাথায় নিয়েই চা শ্রমিকদের জন্য ধার্য করা বোনাস নিঃসন্দেহে পুজোর মুখে চা শ্রমিকদের শারদীয়ার দিনগুলিকে কিছুটা হলেও মসৃণতা দেবে।

নবেন্দু বাড়ৈ
জলপাইগুড়ি