অজানা একটি রোগ। আর তাতেই জমির পর জমি ধান উজার হয়ে যাচ্ছে। চাষবাস করেই যাদের সংসারের চাকা নিত্য ঠেলে যেতে হয় তাঁদের কপালে পড়ছে চিন্তার ভাঁজ।

বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লক। এই ব্লকের সিমুলিয়া, দশরথবাটি, গোবিন্দপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ধান জমি এই অজানা রোগে আক্রান্ত। ধান বাঁচানোর জন্য দোকান থেকে দামী দামী ওষুধ কিনে প্রয়োগ করছেন চাষিরা। কিন্তু কাজে লাগছে না কিছুই।

কৃষকবন্ধুদের দুশ্চিন্তার পারদ যখন চড়ছে, ঠিক তখনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল কৃষি দফতর। এই অজানা রোগের হাত থেকেও পরিত্রাণ পেতে পারেন কৃষকরা। তার জন্য কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ধানচাষিদের দেওয়া হচ্ছে যাবতীয় পরামর্শ। শুরু হচ্ছে ব্যপক প্রচার।

আর কয়েকদিন পরেই ধান কাটার সময়। এরই মধ্যে শিয়রে বিপদ নিয়ে হাজির অজানা রোগ। যদিও কৃষকবন্ধুদের পাশে বরাবরই দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। এগিয়ে এসেছে কৃষি দফতর। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে চাষিবন্ধুদের রাতের ঘুম ফিরিয়ে দিয়েছে। তাই শিয়রে বিপদ থাকলেও কৃষি দফতরের পরামর্শে চাষিরা যদি মনযোগী হয়, তাহলে এবারেও ধানের জমিকে বাঁচাতে পারবেন ইন্দাস ব্লকের ধানচাষিরা। বিপদের আঁচে ভুগতে হবে না তাঁদের।

আব্দুল হাই
বাঁকুড়া