Trending

কথায় আছে বর্ষার ছাতা, আর শীতের কাঁথা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আগেকার দিনে মা-ঠাকুমারা শীত পড়ার আগেই লেপ তৈরি করতেন। আবারও কখনও কখনও সেগুলিকে চড়া রোদে দেওয়া হত। যাতে তুলো গরম থাকে, আর শীত কম লাগে। কিন্তু বর্তমানে এই লেপের চাহিদা কম্বলের দাপটে একেবারে শিকেয় উঠেছে। কমেছে ধুনুরিদের হাঁকডাক।
বিহারে তাঁর বাড়ি। কিন্তু তিন দশক ধরে রয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের কাঁচাকালিতে। তিনি পেশায় একজন ধুনুরি। তিনি মহঃ আসলাম। যার রথ বলতে রয়েছে একটি সাইকেল। তুলোর বস্তা, দাঁড়িপাল্লা, কিছু লেপ-তোষকের কভার এবং তুলো ধোনার যন্ত্র নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন। শীতের আগে কারুর যদি লেপের চাহিদা থাকে। আগে অবশ্য এতোকিছু ভাবতে হত না। কিন্তু বাজারে বাহারি কম্বল চলে আসায় লেপের দাপট কমেছে। তবুও পেটের টানে পেশা বদল করেননি তিনি।
পুরনো পেশাকে আঁকড়ে ধরে আশায় বুক বেঁধেছেন এই ধনুরি মহঃ আসলাম। আগে যে তুলনায় কাজ পেতেন এখন কাজের পরিধি কমে গেলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের কাঁচাকলি ছাড়তে নারাজ তিনি। এখনও তিনি আশাবাদী যে, হয়তো এই পরিস্থিতি একদিন মোড় নেবে।
দামের দিক থেকেও বাহারি কম্বল টেক্কা দিচ্ছে লেপকে। একটি কম্বল যেখানে পাওয়া যেতে পারে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় সেখানে লেপ তৈরি করতেই খরচ পড়ে যায় কম করে দেড় থেকে দু’ হাজার টাকা। তবু পরিস্থিতি যাই হোক না কেন মনোবলটাই আসল। যার জলজ্যান্ত প্রমাণ মহঃ আসলাম নিজেই।
অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর