Daily
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দফা যত এগোচ্ছে ততই চড়ছে ভোটের পারদ। কখনও বক্তৃতায় বোমা ফাটাচ্ছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো কখনও বিরোধী শিবিরের একাধিক সেনাপতি। খেলা হবে আর এবার খেলা শেষ হবে- শব্দবন্ধ দুটি হয়ে উঠেছে এবারের নির্বাচনের মূল ট্যাগলাইন।
গতকাল পূর্ব বর্ধমানের এক নির্বাচনী সভায় রনং দেহী মেজাজে আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানায় অবশ্যই বিরোধী পদ্মশিবির। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই আক্রমণকে একেবারেই পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আজ যখন রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচনে কয়েকটি জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে ঠিক তখনই গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছিল সেই হাতা, খুন্তি নিয়ে খেলার কথা। সেই খেলায় রাজ্যের জনগণ উৎসাহিত হবেন কিনা আর হলে নির্বাচনে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
রাজ্যের শাসকদলের প্রধানের মুখে এমন কথায় যথারীতি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন একদা তাঁরই বিশ্বস্ত সেনাপতি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কমিশন আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে একহাত নিয়ে রাজ্যবাসীকে ভয় না পাওয়ার পরামর্শও দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ডাক দেন রুখে দাঁড়ানোর। বলেন, ভোটের পর ৩৬৫ দিন আমরাই থাকব। এর পাশাপাশি আদর্শ আচরণবিধি মানা প্রসঙ্গে কমিশনের বিমাতৃসুলভ আচরণকে কটাক্ষ করে তোলেন আমরা-ওরার প্রসঙ্গ। বলেন, আমরা করলে দোষ আর প্রধানমন্ত্রী করলে নির্দোষ। তবে বিজেপি যে হারবেই হারবে সেই আত্মবিশ্বাসও শোনা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
মুখ্যমন্ত্রী যখন গতকাল বর্ধমানের জামালপুরে, আক্রমণাত্মক মেজাজে তোপ দাগছেন বিজেপির বিরুদ্ধে ঠিক তখনই বহরমপুরে নিজের গড়ে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিকে হারানোর সংকল্পকে রীতিমত কটাক্ষ করলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাজ্যে যদি ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হয় তবে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির সঙ্গেই যাবেন, এমনই দাবি করেছেন অধীরবাবু।
পিছিয়ে নেই বামেরাও। সংযুক্ত মোর্চা করে তারাও আশাবাদী রাজ্যের মানুষ দুই ফুলকেই প্রত্যাখ্যান করবে এবারের নির্বাচনে।
তবে মানুষ কী করবে তা একমাত্র মানুষই বলতে পারবেন। তবে বিগত দফার থেকে এই চতুর্থ দফায় রাজ্যের মানুষের রক্তক্ষরণ যে বেশি হচ্ছে সেটা মানুষ দেখছেন। আর মানুষের রায় জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।
পূর্ব বর্ধমান, বহরমপুর, শিলিগুড়ি থেকে পাপাই সরকারের সঙ্গে কুশল শেরিফ ও উৎপল পোদ্দারের রিপোর্ট