তৃণমূলের যেমন মমতা, বিজেপির তেমন লকেট? তিনিই কি এবার হতে চলেছেন মমতার বিরোধী মুখ? মানে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব কি এবার পেতে চলেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়? কেন লকেট? এবার বলছি সেই কথা।

সুকান্ত মজুমদার প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। ফলে সেই পদ এখন ফাঁকা। এখন সেই রাজ্য সভাপতি পদের দাবিদার কে হবেন এই নিয়েই যত আলাপ আর যত আলোচনা। লকেট চট্টোপাধ্যায় যিনি অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হয়েছেন, তিনি বঙ্গ বিজেপির চর্চিত মুখ। সেই সারিতে রয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরি নিজেও। দুজনে পরাজিত হয়েছেন ঠিক, কিন্তু মমতার বিরোধী হিসেবে এরা ছাড়া যে খুব বেশি মহিলা মুখ নেই। সেই সারিতে অবশ্য নাম রয়েছে অগ্নিমিত্রা পালের। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, বঙ্গ বিজেপি মনে করছে, তৃণমূল মহিলা ভোটার পাশে পেয়েছে বলেই এই বিপুল জয় তারা আনতে পেরেছে। তার ওপর তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা নিজে। যে কারণে বাংলা নিজের মেয়েকে চায় এই স্লোগানটা এতো পপুলার হয় বাংলার ঘরে ঘরে। তাহলে প্রশ্ন এখন কী হতে চলেছে? এবার কি তাহলে বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দেবার জন্যই মহিলা মুখের সন্ধান করছে? বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ দিতে চাইছে কোন মহিলাকেই? যাতে মমতার বিরোধী মুখ হিসেবে দাঁড় করানো যায়? আরএসএস অবশ্য এই মহিলা মুখকে দাঁড় করানোর ব্যাপারে খুব একটা সায় দিচ্ছে না। তবে বিজেপির অন্দরে এই নিয়ে শুরু জোর জল্পনা। কে কে থাকছেন সেই তালিকায়?

সূত্র বলছে, বিজেপি যদি সত্যিই কোন মহিলাকেই রাজ্য সভাপতির পদে বসাতে চায় তাহলে যে নামগুলো সামনে থাকবে সেগুলো হলঃ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরি, অগ্নিমিত্রা পাল। এদের মধ্যে লকেটের নাম অনেকে আনলেও দেবশ্রী আবার বহু বিজেপি কর্মীর পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। তার কারণ দেবশ্রী চৌধুরির সঙ্গে আরএসএসের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। যেটা আবার লকেটের সঙ্গে তেমন একটা নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে মমতাকে টেক্কা দিতে লকেট, দেবশ্রী বা অগ্নিমিত্রা পাল কতটা সফল হবেন? অনেকেই বলছেন, মোদী যদি কেন্দ্রের মুখ হয়ে থাকেন তবে বাংলার মুখ হচ্ছেন মমতাই। একের পর এক নির্বাচনে কার্যত অপ্রতিদ্বন্দ্বী মমতা। তাঁর মুখ দেখেই তৃণমূল একের পর এক ঢেউ অতিক্রম করে গেছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন মমতার সঙ্গে সেই টক্কর নেবেন কে?

বিজেপির যে যে মহিলা মুখ রয়েছেন তাঁরা কোনভাবেই মমতার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবেন না বলেই মনে করছেন অনেকে। আবার বিজেপি এটাও বুঝতে পারছে যে, বঙ্গ রাজনীতিতে মহিলা একটা বড় ফ্যাক্টর। জোরদার মহিলা মুখ না থাকলে প্রধান বিরোধী হিসেবে বিজেপি কোনদিনই আর সরকারে আসতে পারবে না, বিরোধী হিসেবেই থেকে যেতে হবে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে এখন কে হবেন? অবশ্য বিজেপির একটা বড় অংশ মনে করছেন, কোন মহিলা মুখ নয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষ ফিরে আসুন। দিলীপপন্থীরা মনে করেন, দিলীপ ঘোষের আমলেই বিজেপি একেবারে চমকে দেবার মত উত্থান দেখেছিল বাংলায়। সেই দিলীপ ঘোষ সরে যাবার পরেই কার্যত বিজেপির রণতরী এগোয় তো নেই, বরং পিছিয়ে পড়েছে। আর এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বঙ্গ বিজেপির তেমন কোন মহিলা মুখ নেই যে মমতার সঙ্গে টক্কর দেবেন। সেদিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ