Daily

তবে কি রাজনৈতিক যোগাযোগ কাজে লাগিয়েই ভুয়ো টিকাকরণ শিবির করে রাজ্যের মন্ত্রীদের আস্থা অর্জন করতে চাইছিলেন দেবাঞ্জন দেব? সেটা পুরোটাই তদন্তসাপেক্ষ। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। দেবাঞ্জনের প্রতি যেন কোনরকম আপস না করা হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এবার শাসকদলের যোগাযোগ থাকা নিয়ে নেতা-মন্ত্রীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন বিজেপির মিডিয়া সেলের প্রধান সপ্তর্ষি চৌধুরী। তাঁর আক্রমণে রয়েছেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম সহ সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র।
অভিনেত্রী লাভলি নেত্রী হবার পর তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসার কারণ হল, গত ১৫ জুন সোনারপুরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে এবং দেবাঞ্জন দেবকে একসঙ্গে দেখা যায়। যেখানে দেবাঞ্জনকে জয়েন্ট কমিশনার এবং আইএএস বলেও পরিচয় দিয়েছেন। তাই সঠিক তদন্তের দাবি করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এদিকে লাভলির দাবি, দেবাঞ্জন তাঁর পূর্ব পরিচিত কেউ নন। তাঁর কেন্দ্রেই মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁর সঙ্গে আলাপ।
উল্লেখ্য, যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ভুয়ো টিকা পেয়েছিলেন। তারপরেই দেবাঞ্জনের কু-কীর্তি ছড়িয়ে পড়তে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। তারপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ জানান হয় সঠিক তদন্তের। একইসঙ্গে জানান হয় রাজ্য সরকারের কোন নেতা-মন্ত্রীরা এতে যুক্ত আছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হোক।
ব্যুরো রিপোর্ট