এবার কী হবে রেখা পাত্রের? বিজেপি কি তার সঙ্গে আর যোগাযোগ রেখেছে? রেখা পাত্রের ভবিষ্যৎ কি তাহলে ডুবে গেল? এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর জল্পনা। হেরে গেছেন, তাড়াও খেয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের কাছে। তারপর মাঝে একবার দেখা গেছিল, সেই যেদিন নির্বাচনের ফলাফল বেরোয়। তারপর যেন কর্পূরের মত উবে গেলেন রেখা পাত্র। সাংবাদিকদের ক্যামেরায় তিনি আর ধরাও পড়ছেন না। প্রকাশ্যে দেখাও যাচ্ছে না সেভাবে। যেন একেবারে মুখটি লুকিয়েছেন তিনি। যা দেখে অনেকেই বলতে শুরু করে দিয়েছেন, রেখা পাত্রের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে হাতুড়ি দিয়ে পেরেক ঠোকার কাজটি আপাতত সফলভাবে হয়ে গেছে।

বিজেপির অন্দরে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর আলোচনা। বেশ কিছু বিজেপির পুরনো নেতা, কর্মীদের মনে জমা হয়েছে অসন্তোষ। এই ভরাডুবির কারণ হিসেবে অনেকেই তুলে ধরছেন শুভেন্দুর ব্যর্থতাকে সরাসরি। এছাড়া বিজেপি যে বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে এখনো তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দেবার কাজটি করতে পারে নি তার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, বঙ্গ বিজেপির অন্দর। সেই নৌকোয় প্রচুর ছেদ। বঙ্গ বিজেপির খামতি কোথায়? অনেকে আবার বলছেন এটা খামতি নয়, পিছন থেকে ছুড়ি মারামারির মত ব্যপার। পুরনোদের সরিয়ে নতুনদের নিয়ে আসা, বঙ্গ রাজনীতির আবহাওয়াকে গরম করে ভোট টানার প্রচেষ্টা, ল্যাং মারামারি, এসব বঙ্গ বিজেপির আভ্যন্তরীণ অবস্থা যে কতটা কাহিল সেটাও বারবার দেখিয়ে দিচ্ছে।

কেউ কেউ মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারীর উপরে যে গুরু দায়িত্ব বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিয়েছিল সেই দায়িত্ব পালনের ক্ষমতাই নাকি শুভেন্দুর নেই। নেই কেন? কারণ শুভেন্দু ইন্ডিপেন্ডেন্টলি কোন রাজনীতি করেন নি। যতদিন তৃণমূলে ছিলেন ততদিন মমতার ছত্রছায়ায়। এখন রয়েছেন মোদী, শাহের ছত্রছায়ায়। তারপরেও যে বঙ্গ বিজেপিকে অনেকটা তুলে ধরার চেষ্টা তিনি করেছিলেন সেটা আপাতত বিফলে গেছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কেন শুভেন্দুর উপর এতটা বিশ্বাস রাখলেন? এই নিয়ে অবশ্য দিলিপ ঘোষ ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু মন্তব্য করেছেন। ওল্ড ইজ গোল্ড বলেছেন, বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছেন, বঙ্গ বিজেপির মধ্যে এখন যে হাওয়া চলছে সেটা কোনভাবেই তৃণমূলকে সরিয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা রাখে না। যা আমরা দেখতে পাচ্ছি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পর। বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। তারপর প্রশ্ন উঠছে কী হবে রেখা পাত্রের?

অনেকেই বলছেন যে শুভেন্দু যেভাবে রেখা পাত্রকে তুলে ধরেছিলেন আর রেখা পাত্রের জন্য যেভাবে খোদ মোদী নিজে গলা ফাটিয়েছেন তারপর তো রেখা পাত্রের জয় নিশ্চিত ছিল। সেখানে তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলামের ব্যপক মার্জিনে জয় দিনের শেষে প্রমাণ করে দিল, রেখা পাত্রের সঙ্গে মানুষ নাকি নেই। বিজেপির কিছু নেতা বলছেন, রেখা পাত্র নাকি টাকার লোভে দাঁড়িয়েছিলেন। অতি লোভেই কি তাহলে সব হারালেন রেখা পাত্র? বিজেপি অবশ্য রেখা পাত্রের ভবিষ্যৎ কী হবে সেই নিয়ে কিছুই বলে নি এখনো। আপনারা কি মনে করেন? জানান কমেন্ট বক্সে।

বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ