Daily

দিল্লির এইমস হাসপাতালে বার্ড ফ্লুয়ে মৃত্যু হল ১১ বছরের এক বালকের। এই বছরে বার্ড ফ্লুয়ে প্রথম মৃত্যু। বালকের সংসর্গে আসা সকলকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণের মধ্যে বার্ড ফ্লুয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিত্সকরা। গত কয়েক দিন করোনা সংক্রমণের মধ্যে একাধিক ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ভারতে। তার মধ্যে অন্যতম জিকা ভাইরাসও।
করোনা ভাইরাসের মতোই সংক্রামক এই ভাইরাস। মূলত পাখির থেকেই ছড়ায়। কেবল মাত্র মুরগির থেকেই যে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে এমন কোনও বিষয় নেই। একাধিক পরিযায়ী পাখি এমনকী কাক, পায়রার থেকেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। করোনার মতোই জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এই ভাইরাসের সংক্রমণে।
জানুয়ারি মাসেই একাধিক রাজ্যে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে। কেরল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশে একাধিক বার্ড ফ্লুয়ের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এমনকী মহারাষ্ট্রেও বার্ড ফ্লুয়ের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
ইতিমধ্যেই এই রাজ্যগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, এবং কেরলের ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করে এইচ ফাইভ এন এইট স্ট্রেনের সন্ধান মিলেছে। হিমাচল প্রদেশের নমুনায় এইচ৫ এনওয়ান ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে।
এবার করোনা সংক্রমণের মধ্যেও বার্ড ফ্লুয়ে মৃত্যু নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তবে মুম্বইয়ের ভেটেনারি কলেজের অধ্যাপক ডাক্তার এএস রানাডে জানিয়েছেন, ভারতে বার্ড ফ্লুয়ের সংক্রমণ মারাত্মক হওয়ার সম্ভাবনা কম। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে এর সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি কারণ- আবহাওয়া।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই ভাইরাস মরে যায়। কাজেই ভারতে এই ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা কম। কারণ ভারতে চিকেন এবং ডিম দুটোই ভাল করে ফুটিয়ে সিদ্ধ করে তারপর খাওয়ানো হয়। ডিম ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফুটে সেদ্ধ হয়। কাজেই ভারতে চিকেন এবং ডিম খেয়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
ব্যুরো রিপোর্ট