Trending
জলবায়ু পরিবর্তন। আজকের পৃথিবীর কাছে এক এবং একমাত্র চ্যালেঞ্জ। ম্যান মেড যেকোনো কিছু পরিবর্তন করা যায়, বা অ্যাটলিস্ট পরিবর্তনের চেষ্টা করা যায়। কিন্তু প্রকৃতি একবার রুষ্ট হলে, সেটাকে চেঞ্জ করা প্রায় অসম্ভব। তবে এই জলবায়ু পরিবর্তনে কার দোষ বেশি, কার কম সেটা নিয়ে তর্কে জড়ানো মানে সময় নষ্ট করা। এখন সময় শুধু এই পরিবর্তনকে অ্যাক্সেপ্ট করে আগামীতে কীভাবে এগোনো যায়, সেটার একটা সুন্দর ছক কষে ফেলা এবং প্রত্যেককে সেই বিষয়ে অবগত করা। ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স এবং মিনিস্ট্রি অফ এক্সটারনাল অ্যাফেয়ারস যেন সেই মেসেজটা দিতেই আয়োজন করে ফেলল এক মেগা বিজনেস কনক্লেভ। ভাবছেন তো ক্লাইমেট চেঞ্জের সঙ্গে বিজনেসের কি সম্পর্ক?
ভেন্যু হিসেবে চুজ করা হল শহর কোলকাতাকে। কেন?
কোলকাতা-ঐতিহ্যের শহর, সংস্কৃতির শহর, ভালবাসার শহর। আর এবার থেকে কোলকাতা মানে সেতুবন্ধনের শহর। যে সেতু যুক্ত করে একাধিক ব্যবসার সম্ভাবনাকে। যে সেতু দিশা দেখায় দেশের ইকোনমিক ডেভলপমেন্টকে। আর তাই এবার কোলকাতাতেই অনুষ্ঠিত হল বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেকটরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বা বিমসটেক বিজনেস কনক্লেভ। ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে এবং মিনিস্ট্রি অফ এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয় এই বিজনেস সামিট। বঙ্গপসাগর অঞ্চলের দেশগুলি অর্থাৎ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভারত যুক্ত হয়েছিল এই ব্যবসায়িক সামিয়ানায়। তবে শুধু ব্যবসা নয়। এই সামিটের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্কের বুনিয়াদ আরও মজবুত করে তোলা। সেটা স্বাস্থ্যের দিক থেকে হোক কিংবা শিক্ষার দিক থেকে হোক কিংবা কানেক্টিভিটির দিক থেকেই হোক।
অর্থনৈতিক দোলাচলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ। আর সেই মুহূর্তেই আয়োজন করা হল এই বিজনেস কনক্লেভ, যেখানে বঙ্গপোসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের চ্যালেঞ্জগুলোকে আইডেন্টিফাই করে একটা সঠিক দিশা দেখানোর শপথ নেওয়া হল। বে অফ বেঙ্গল রিজিওনের প্রতিটি দেশের ছোট ছোট গ্যাপগুলোকে পূরণ করে এই ধরণের সম্মেলন যে দেশগুলোর ইকোনমিক ডেভ্লপমেন্টকে আরও এনহান্স করবে সে বিষয়ে আশাবাদী প্রত্যেকেই।
বে অফ বেঙ্গল রিজিওন মানে প্রায় ১.৬৭ বিলিয়ন মানুষের উপস্থিতি এবং যে অঞ্চলের জিডিপি-তে কন্ট্রিবিউশন প্রায় ২.৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার। নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন যে এই অঞ্চল ফরেন ইনভেস্টরদের জন্য একটা গোল্ডেন ট্রাম্প কার্ড। অথচ, এই রিজিওনের আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সেভাবে ডেভলপডই করেনি। কিন্তু এবার আর আর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকার সময় নয়। ভারতকে এগোতে হবে। আর ভারতকে এগোতে হলে এই সমস্ত দেশকে একসাথে নিয়ে এগোতে হবে। তাই এই বিজনেস কনক্লেভ ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য একটা মাইলফলক তো বটেই।
বিমসটেক অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিশেশজ্ঞরা কি বললেন শুনব তাদের মুখ থেকেই।
তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান যেন বিমসটেক রিজিওনের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার এক প্রতিজ্ঞামঞ্চ। যেখানে উপস্থিত লিডার এবং এক্সপার্টদের আলাপ আলোচনা ও পর্যালোচনা তাদের নতুন করে কিছু করে দেখানোর শক্তি দেয়। সকলে মিলে একহয়ে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নেন সভায় উপস্থিত প্রত্যেকে। রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশনের দিক থেকে এক অমঘ চিহ্ন রেখে যায় এই বিমসটেক বিজনেস কনক্লেভ। যেখানে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এক অভিন্ন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলার এবং সমৃদ্ধ বিমসটেক রিজিওন গড়ে তোলার শপথ নেন সকলে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ