Story

করোনা আবহে যখন বন্ধ ছিল স্থলবন্দর, তখন প্রতিমাসে শতাধিক ট্রেন যোগে বাংলাদেশে পণ্যপরিবহন করেছে ভারত। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলসংযোগ চালুর পর প্রতিমাসে দশ থেকে পনেরোটি ট্রেন বর্তমানে যাতায়াত করছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ট্রেনের সংখ্যাও। এবার রেলপথে দুই দেশের বাণিজ্য ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে আরো একগুচ্ছ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হচ্ছে দ্রুত।
কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব প্রায় ১৫৫০ কিলোমিটার। আখাউরা আগরতলা রেলপথ চালু হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে সময়ের ব্যবধান কমে দাঁড়াবে ৬৫০ কিলোমিটারে। আগে যেখানে আগরতলা পৌঁছতে সময় লাগত ৩৮ ঘণ্টা, এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সময় লাগবে মাত্র ৬ ঘণ্টা মতন।
ত্রিপুরার আগরতলা এবং আখাউড়ার মধ্যে রেলপথে সংযোগ তৈরির জন্য ২০১৩ সালে সমঝোতা স্মারকে সই করে দুটি দেশ। ভারতের অর্থায়নে নির্মিত এই রেলপথের পাঁচ কিলোমিটার থাকবে ভারতে। বাকি অংশ পুরোটাই থাকবে বাংলাদেশে। এছাড়া ফেণী নদীর উপরেও মৈত্রী সেতুর কাজও শেষের দিকে। সবমিলিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আরো দৃঢ় হবে এই রেলপথ সংযোগ হলে। যাত্রীদের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনেও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশের এই রেল সংযোগ।
ঋদি হক
ঢাকা